ইস্টবেঙ্গলের (East Bengal Cricket Team) ক্রিকেট দলের পরামর্শদাতা হলেন ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য সন্দীপ পাতিল (Sandeep Patil)। লাল-হলুদের ক্রিকেট দলে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এল শ্রাচী গ্রুপ। আর সেই অনুষ্ঠানে সন্দীপ পাতিলকে প্রধান অতিথি করে আনা হয়েছিল। সেখানেই এই ঘোষণা হয়।
কত বছরের চুক্তি?
প্রাথমিক ভাবে ৩ বছরের চুক্তি সাক্ষরিত হল শ্রাচী ও ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের মধ্যে। এদিনের অনুষ্ঠানে এসে শ্রাচী গ্রুপের কর্তা রাহুল টোডি বলেন, ‘দারুণ আনন্দের খবর। আমরা ইস্টবেঙ্গলের মতো বড় ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। আপাতত তিন বছরের চুক্তি হলেও, ভবিষ্যতেও আমরা লাল-হলুদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই। আশা করি সবটা বেশ ভালো হবে।‘ ছোটবেলা থেকেই রাহুল ইস্টবেঙ্গল ফ্যান। পরিবারের সকলেই খেলাধুলো ভালোবাসেন বলেই জানিয়েছেন রাহুল। তিনি বলেন, ‘আমার বাবা দাদুর কাছে শুনেছি, ওরা র্যা ম্পার্ডে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতেন। পেরিস্কোপ থাকত, বলে শুনতাম। আমি নিজে এভাবে খেলা দেখিনি, কিন্তু শুনেছি। বুঝতে পারি কতটা প্যাশান ছিল।‘
বিভিন্ন জেলায় তৈরি হবে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি
তবে কলকাতায় ক্লাব ক্রিকেট খুব একটা জনপ্রিয় নয়, তবুও কেন ইস্টবেঙ্গলে বিনিয়োগ করল শ্রাচী গ্রুপ? প্রশ্নের উত্তরে রাহুল বলেন, ‘আসলে আমি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলাম। সেটাই করেছি। এর বাইরে আর কিছুই নয়।‘ এছাড়াও বিভিন্ন জেলায় তৈরি হবে ক্রিকেট অ্যাকাডেমি। সেখানে ছেলে-মেয়েদের থাকার ব্যবস্থাও থাকবে। চারটি জায়গায় হতে পারে এই রেসিডেনশিয়াল অ্যাকাডেমি। বর্ধমান, হলদিয়া খড়্গপুর ও বাঁকুড়ায় হতে পারে অ্যাকাডেমি। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল দলকে ইনভেস্ট করছে ইমামি গ্রুপ। ইমামির সঙ্গে শ্রাচী গ্রুপের ব্যবসায়িক সম্পর্ক বেশ ভালো। দুই কোম্পানি কি একসঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কাজ করবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের মাথায়। প্রশ্ন করতেই রাহুল বলেন, ‘এখনও তেমন কোনও পরিকল্পনা নেই। ইমামি ফুটবলটা খুব ভালো দেখছে। ওরা ভালো দল গড়েছে। ইস্টবেঙ্গল ফ্যান হিসেবে আমি চাইব, এবারে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হক ইস্টবেঙ্গল।‘