রবিবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে (Narendra Modi Stadium) দারুণ ব্যাট করলেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। লখনউ সুপার জায়েন্টসের (Lucknow Super Giants) বিরুদ্ধে গুজরাত টাইটান্সকে (Gujarat Titans) দারুণ স্টার্ট দিলেন বাঙালি উইকেটকিপার ব্যাটার। ঋদ্ধিমানের দাপটে পাওয়ার প্লেতে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৭৮ রান তোলে গুজরাত।
দারুণ হাফ সেঞ্চুরি ঋদ্ধিমানের
মাত্র ২২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন তিনি। ছ’টা চার ও চারটে ছক্কা মারেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করার পরও থামেননি ঋদ্ধিমান। বরং মাইল ফলক ছোঁয়ার পর আরও আক্রমানত্মক হয়ে ওঠেন বাঙালি উইকেট কিপার। একের পর এক বাউন্ডারি মারতে দেখা যায় তাঁকে। তাঁকে দেখে হাত খুলে খেলতে থাকেন ওপেনিং পার্টনার শুভমন গিলও। নবম ওভারেই ১০০ পেরিয়ে যায় গুজরাতের রান। ৪৩ বলে ৮১ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হন ঋদ্ধিমান। আভেশ খানের ব্যাক অফ লেংথ ডেলিভারিতে বড় শট মারতে গিয়ে ডিপ স্কোয়ার লেগে পরিবর্ত হিসেবে নামা পারেখ মার্কণ্ডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ঋদ্ধিমান। ১২ ওভারে ১৪২ রানে প্রথম উইকেট হারায় গুজরাত।
গত বছরে প্রথমবার আইপিএল-এর মঞ্চে খেলতে নেমেই সকলকে চমকে দিয়েছিল হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik pandya) গুজরাত। প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন ঋদ্ধিমান। তাঁকে পরের বছরে রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাত।
ঋদ্ধিমানই সেরা উইকেট কিপার
উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে যে পারফরম্যান্স দিলেন বাঙালি উইকেটকিপার তাতে গুজরাত (Gujarat Titans) ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়াও (Hardik Pandya) দারুণ খুশি। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ঋদ্ধির মতো ভালো উইকেটকিপার তিনি তাঁর কেরিয়ারে দেখেননি।
রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর হার্দিক পান্ডিয়া বলেন, ‘আমি কিপার ঋদ্ধির বিরাট বড় ফ্যান। আমার কেরিয়ারে যতজনের সঙ্গে খেল্লেছি, তাদের মধ্যে ঋদ্ধিই সবচেয়ে এগিয়ে। সেই জন্যই আমি ওকে খুব ভরসা করি।‘ গুজরাত ক্যাপ্টেন আরও বলেন, ‘রশিদ খান ও নূর আহমেদের বলে কিপিং করা বেশ কঠিন। যদিও ঋদ্ধিকে দেখে মনে হয়, খুবই সহজ। ও দলের জন্য যে ভূমিকা রাখে, সেটা হয়ত সকলের নজর এড়িয়ে যায়। কিন্তু ও অসাধারণ। আসলে উইকেট কিপারের কাজটা থ্যাঙ্কলেস জব।‘