বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (World Test Championship Final 2023) খেলতে নামছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia)। তবে এই ম্যাচের জন্য একটি নয় দু’টি পিচ তৈরি রাখা হচ্ছে। কেন দু’টি পিচ তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি? এমন ঘটনা তো এর আগে কোনোদিন ঘটেনি। কী এমন হল, যার জন্য একটি নয়, দু’টি পিচ তৈরি করার কথা ভাবতে হছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে?
কেন দু’টি পিচ তৈরি করা হচ্ছে?
জানা গিয়েছে, লন্ডনে ‘ওয়েল প্রোটেস্ট’ চলছে গত এক বছর ধরে। পরিবেশ কর্মীরা এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ বিঘ্নিত হয়েছে এই প্রতিবাদের জন্য। প্রতিবাদীরা মাঠের মধ্যে ঢুকে খেলার জায়গা নষ্ট করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা এফএ-কে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ একটা বড় মঞ্চ। গোটা বিশ্বের চোখ থাকবে এই ফাইনাল ম্যাচের দিকে। ফলে প্রতিবাদীরা, এই মঞ্চকে ব্যবহার করতে পারেন। এমনটাই আশঙ্কা করছে আইসিসি। ফলে যে পিচে ফাইনাল ম্যাচ হওয়ার কথা, সেই পিচ নষ্ট করে দেওয়া হতে পারে। সেই জন্যই ফাইনাল ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই নতুন পিচ বানানোর কাজে মন দিয়েছেন ওভালের মাঠকর্মীরা।
আরও পড়ুন: WTC ফাইনালে টিম ইন্ডিয়ার উইকেট কিপার কে?
যদি ম্যাচ অন্য পিচে করতে হয়…
ম্যাচের মাঝে বা আগে-পরে যদি বিক্ষোভকারীরা মাঠের মধ্যে ঢুকে পিচ নষ্ট করেন, তবে আইসিসি-র নিয়ম অনুসারেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রথমত যদি মাঠে থাকা আম্পায়াররা পিচের অবস্থা দেখে সন্তুষ্ট না হন তবে তাঁরা ম্যাচ রেফারিকে ঘটনাটা জানাবেন। সেই সময় বন্ধ থাকবে ম্যাচ। এরপর দুই অধিনায়কের সঙ্গেই কথা বলবেন ম্যাচ রেফারি। তাদের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যদি যে পিচে খেলা হচ্চছিল, তা কোনোভাবে মেরামত করা যায়, তবে সেখানেই ফের শুরু হবে ম্যাচ।
আরও পড়ুন: WTC ফাইনালে বৃষ্টির শঙ্কা, ড্র হলে কারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারে?
আর তা না করা গেলে নতুন পিচে ম্যাচ খেলা হবে। মঙ্গলবার এই নতুন পিচে রোলার চালানো হয়, ঘাসও অনেকটাই ছেঁটে ফেলা হয়। আপতকালীন পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আগে থেকেই সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রাখছে আইসিসি।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা
এমনিতেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, তার ওপর আবার নানা ধরনের আশঙ্কা। সেই জন্যই, নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরাল করা হচ্ছে। বিক্ষোভকারীদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তাঁরা যাতে কোনও ভাবেই আগামী পাঁচদিন ওভালের আশেপাশে আসতে না পারেন তার বন্দোবস্ত করতে চাইছে আইসিসি। তবে কোনওভাবে তা সফল না হলেও ম্যাচ যাতে আটকে না যায় তার ব্যবস্থাও থাকছে।