শুক্রবার রাত পার হলেই শিলিগুড়ি পুরনিগমের নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনের তরফে শিলিগুড়ি কলেজকে ডিসিআরসি করা হয়েছে। ফলে এদিন সকাল থেকেই ইভিএম থেকে শুরু করে ভোটের যাবতীয় জিনিস নিয়ে বুথের দিকে রওনা দিয়েছে ভোট কর্মীরা।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে এবার শিলিগুড়ি পৌরনিগম নির্বাচনের মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৪ লক্ষ ২৮ হাজার। যার মধ্যে ২ লক্ষ ৩ হাজার ৯৮০ জন পুরুষ এবং মহিলা ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৮৯৯ জন।
তবে মোট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের ১৭ শতাংশ কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। সেই সব ভোটগ্রহন কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার আয়োজন করা হচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
সে সব বুথে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করার পাশাপাশি ওয়েবকাস্টিং, ভিডিওগ্রাফি এবং সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এবার ভোটে মোট ১৭ জন আইপিএস অফিসার, ৩০২ জন পুলিশ অফিসার, প্রায় ১২০০ পুলিশ কর্মী নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শিলিগুড়ি পৌরনিগম নির্বাচনের ৪৭ টি ওয়ার্ডের জন্য ৫০২ টি মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি অতিরিক্ত ৮২ টি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শিলিগুড়ি কলেজকে ডিসিআরসি ও স্ট্রংরুম হিসেবে প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
নির্বাচনের মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ৮৯ টি ভোটগ্রহন কেন্দ্র স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তার মধ্যে ১, ২, ১৭, ২২, ২৫ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে দুটি করে, ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আটটি, ৯ ও ২৮ নম্বরে ছয়টি করে, ৬, ১০, ১৩, ১৯, ২০, ২১, ৩১, ৩২, ও ৩৩ নম্বরে একটি করে, ৭ ও ৮ নম্বরে পাঁচটি করে, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র, ৪০ ও ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডে চারটি করে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
স্পর্শকাতর এলাকা হিসেবে সমরনগর, চম্পাসারি, বাঘাযতীন কলোনি, প্রধাননগর, রাজেন্দ্রনগর, ডাঙ্গিপাড়া, খালপাড়া, জ্যোতিনগর, টুমলপাড়া, সন্তোষীনগর, নুতনপাড়া, মিলনপল্লি, দেশবন্ধুপাড়া, বাবুপাড়া, টিকিয়াপাড়া, লিচুবাগান, কলেজপাড়া, রবীন্দ্রনগর, রথখোলা ও পাঞ্জাবীপাড়ার একাংশ চিহ্নিত হয়েছে।
শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, "নির্বাচন কমিশনের তরফে যেমন নির্দেশ রয়েছে সেভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কুইক রেসপন্স টিম, টহলদারি ভ্যান, স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ থাকছে।
এদিন প্রিসাইডিং অফিসার গৌতম পাল বলেন, "শিলিগুড়িতে কোনওদিনই সেরকম ভোটের সময় সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেনি। এবারও আশা করব সেরকম কিছু ঘটবে না।" ভোট কর্মী সন্তোষ রায় বলেন, "নিরাপত্তার দিক ঠিকই আছে। শিলিগুড়িতে ভোট মানে শান্তিপূর্ণ। সেদিক থেকে আমরা নিশ্চিন্ত।