
বিহারে এ বার NDA ঝড়। ধরাশায়ী বিরোধীদের মহগঠবন্ধন জোট। এমন পরিস্থিতিতে ১টা সিটে জিতে টিম টিম করে জ্বলছে কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া মার্কসবাদী (CPIM)। বিভূতিপুর থেকে জিতেছেন সিপিআইএম প্রার্থী অজয় কুমার। তিনি জিতে এই সিটটি ধরে রাখলেন। বাদবাকি তিনটি সিটে অবশ্য হারের মুখ দেখেছে দল। আর বিরোধীদের এমন শোচনীয় ফলাফলের মধ্যে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কাছে।
সিপিআইএম-এর এই ফলের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দেখুন গঠবন্ধন যদি তলায় নেমে আসে, তখন সিপিএম ২ এ ২ থাকবে, এটা সাধারণভাবে হয় না। এখানেও তাই হয়েছে। আমরা ১টায় জিতেছি। বাকি ৩টেতে ভাল ভোট পেয়েছি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তা জয়ের মতো হয়নি, যে কোনও কারণেই হোক। বাকি কীভাবে কী হল না হল, নির্বাচন কমিশন কী করল, সংখ্যাতত্ত্ব সহ এগুলো বুঝতে আরও দুই-একদিন সময় লাগবে।'
মহাগঠবন্ধনের এত খারাপ ফল কেন?
এই প্রশ্নের উত্তরে সুজন বলেন, 'এটা যারা যার সমীক্ষা করেছে, তারা কেউ বুঝতে পারেনি। কিন্তু ১০১টা আসনের মধ্যে যদি ৯৫টাতে বিজেপি জেতে, ন্যাচারাল বলে তো কেউ মনে করছে না। আবার ও দিকে ১০১টার মধ্যে ৮৫টা যদি জেডিইউ জেতে, এই স্ট্রাইক রেটটা যদি বিজেপি জানত, তাহলে জোট করার প্রয়োজনই ছিল না। ওরাও যা ভেবেছে বা বুঝেছে, তার থেকে বেশি পেয়ে গেছে কেন, সেটা নিশ্চয়ই বিজেপি টের পাচ্ছেন।' এই প্রসঙ্গে তিনি বিজেপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছেন।
বামেরা কি বাড়বে?
বিহারে তো তাও একটা সিট পেয়েছে সিপিআইএম। তারা নিজেদের জমি একবারে খুইয়ে ফেলেনি। কিন্তু অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভায় একদা বাম দুর্গ পশ্চিমবঙ্গে একটাও সিট পায়নি সিপিআইএম। তারা আপাতত বিধানসভায় শূন্য। এমন পরিস্থিতিতে ঘরে বাইরে সকলের কাছে একই প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে সিপিআইএম। আর সেটি হল, শূন্যের ফাঁড়া কি কাটবে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুজনবাবু বলেন, 'পশ্চিমবাংলায় তৃণমূলের উপর মানুষের রিয়্যাকশন দিচ্ছে। এছাড়া তৃণমূলকে যে বিজেপিকে দিয়ে হারানো যাবে না, সেটা মানুষ বুঝেছে। তবে বিহার ইলেকশনের সঙ্গে তাকিয়ে এটা ঠিক করতে হবে, তা নয়।'
তিনি কি আশাবাদী ভাল ফল করবে বামেরা? তাঁর উত্তরে সুজনের কৌশলী উত্তর, 'এখনও আমরা আলাপ-আলোচনা শুরু করিনি। সবাই বুঝতে পারছে।'
এখন দেখার নির্বাচনের সময় ঠিক কোন প্ল্যানে এগোয় বঙ্গ সিপিএম। তারা শূন্য থেকে ১ বা তার বেশির দিকে যেতে পারে কি না।