Advertisement

Panchayat Vote: CPIM-এর টিকিটে জিতে TMC-তে যোগ আরও একজনের, সবুজ-শিবিরের দখলে গোটা গ্রাম

খড়গপুর গ্রামীণের মধ্যে পড়ছে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে এসেছিল ১৪টি। এদিকে বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি। নির্দল ২টি। সিপিএম মাত্র একটিই আসন জিতেছিল। কিন্তু আফরোজা বেগমের দৌলতে সেটি এসে গেলে তৃণমূলের হাতে। আর এই একটি চালেই ম্যাজিক নাম্বার পেয়ে গেল তৃণমূল। 

Afroza Begum
Aajtak Bangla
  • খড়গপুর,
  • 14 Jul 2023,
  • अपडेटेड 12:16 PM IST
  • খড়গপুর গ্রামীণের মধ্যে পড়ছে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে এসেছিল ১৪টি।
  • বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি। নির্দল ২টি। সিপিএম মাত্র একটিই আসন জিতেছিল।
  • শাসক শিবিরের আশঙ্কা ছিল, এই ২ নির্দল প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেবেন। আর তার ফলে বড়কলা চলে যাবে গেরুয়া শিবিরের দখলে।

Panchayat Vote Results: CPM-এর টিকিটে জিতলেন। আর তারপর যোগ দিয়ে দিবেন তৃণমূলে(TMC)। আর তার জেরেই বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে নিল তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে জিতেছিলেন আফরোজা বেগম। এদিকে ফল ঘোষণার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তিনি চলে গেলেন তৃণমূলে।

এমনিতে পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের ফলাফল মন্দ নয়। বেশিরভাগ আসনই গিয়েছে সবুজ শিবিরের দখলে। কিন্তু খড়গপুরের বেশ কিছু আসনে পিছিয়ে তারা। সেখানে বিরোধীদের আধিপত্য। তবে আফরোজা বেগমের দলবদলের পর এখন আরও একটি গ্রাম পঞ্চায়েত এল শাসক দলের দখলে। বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুর আসেন আফরোজা ও সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা। সেখানে তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। 

খড়গপুর গ্রামীণের মধ্যে পড়ছে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানে ৩০টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের হাতে এসেছিল ১৪টি। এদিকে বিজেপি পেয়েছিল ১৩টি। নির্দল ২টি। সিপিএম মাত্র একটিই আসন জিতেছিল। কিন্তু আফরোজা বেগমের দৌলতে সেটি এসে গেলে তৃণমূলের হাতে। আর এই একটি চালেই ম্যাজিক নাম্বার পেয়ে গেল তৃণমূল। 

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, বিজেপির কাছেও দখলের অনেক সুযোগ ছিল। শাসক শিবিরের আশঙ্কা ছিল, এই ২ নির্দল প্রার্থী বিজেপিতে যোগ দিয়ে দেবেন। আর তার ফলে বড়কলা চলে যাবে গেরুয়া শিবিরের দখলে। কিন্তু আফরোজা এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল শাসক শিবির। তবে ২ নির্দল প্রার্থীদের আর দলে ফেরানো হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা তৃণমূল। 

কিন্তু এভাবে তৃণমূল যোগের সিদ্ধান্ত কেন? 
আফরোজা জানিয়েছেন, সিপিএম-এর হয়ে তাঁর পক্ষে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হত না। সেই কারণেই তিনি তৃণমূলে যোগ দিলেন। সঙ্গে প্রায় ১৫০ অনুগামীকেও নিয়ে এলেন।
 
প্রসঙ্গত, ঠিক একই কায়দায় জেতার পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন আরও এক সিপিআইএম প্রার্থী। পূর্ব বর্ধমানের কাঁকুরিয়া গ্রামের ঘটনা। তৃণমূলে যোগ দিয়ে ওই সিপিআইএম প্রার্থী সাফাই দেন,, আগে তো তৃণমূল দলটাই করতাম। সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতে তিনি সময় নিলেন মাত্র ৫ মিনিট।

Advertisement

কালনার কাকুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের ফল ভালই। সেখানে ১৮টি আসনের মধ্যে ১৭টি আসনেই জয়ী তারা। মাত্র একটি আসনে জয়ী হয় সিপিআইএম। ওই আসনেই সিপিআইএম প্রার্থী ছিলেন গীতা হাঁসদা। কিন্তু রেজাল্ট ঘোষণার পরেই তৃণমূলে ঢুকে যান তিনি। গণনাকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, আমি তৃণমূল দলটাই করতাম। একটা কারণে সিপিএমে গিয়েছিলাম। তবে কারণটা বলা যাবে না। সিপিএম মাত্র একটা আসনে জিতেছে। একটা আসন নিয়ে তো পঞ্চায়েতে কিছু করা যাবে না। তাই তৃণমূলে ফিরে এলাম।

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement