উচ্চ মাধ্যমিকে ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন। রেজাল্ট দেখার পর সামিল হয়েছিলেন পাশ করানোর দাবিতে আন্দোলনেও। সেই দাবি পূরণের আশা নেই। শনিবার গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল অকৃতকার্য ছাত্রীর দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হবিবপুরের ডুবাপাড়ায়। মৃতার নাম শম্পা হালদার। বয়স ১৭। ওই ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মহত্যাই করেছেন শম্পা।
এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন হবিবপুরের আরএন রায় গার্লস স্কুলের ছাত্রী শম্পা। ওই স্কুলের মোট ১৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮০ জন পাশ করেছেন। বাকিরা অনুত্তীর্ণ। তার পর পাশ করানোর দাবিতে মালদহের বুলবুলচণ্ডী এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীরা। জেলা শিক্ষা দফতর ঘেরাও করেন তাঁরা। ওই বিক্ষোভ অংশ নিয়েছিলেন শম্পাও।
শনিবার সকালে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজন। তাঁদের দাবি,ফেল করার পর থেকে মনমরা ছিল শম্পা। অপমানে জ্বালায় আত্মঘাতী হয়েছেন। শম্পার বাবা কুশি হালদার জানান,'পরীক্ষায় ফেল করায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ও।
দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। জেলার অতিরিক্ত সুপার শাহ অমিত কুমার বলেন,'প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হতে পেরে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে।'