আকাশপথে সুরক্ষা এবং হামলার টেকনিক লাগাতার বদলে যাচ্ছে। ফাইটার জেট এর মাধ্যমে শত্রুকে পরাস্ত করে তা চিহ্নিত করে আক্রমণের যুদ্ধ কলা ধীরে ধীরে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন নতুন টেকনিকে ঘরে বসেই অর্থাৎ নিজের দেশের মধ্যে থেকেই বিপক্ষের ট্যাংকার, হাতিয়ার ডিপো, পাওয়ার প্ল্যান্ট ইত্যাদি ড্রোন হামলা করে গুঁড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
ভারত এই টেকনিক ডেভলপ করছে। আকাশপথে হাতিয়ার তৈরি হচ্ছে। দুটি এমন হাতিয়ার তৈরি হচ্ছে ,যার বিষয় আপনাদের জানাব। FUFA দ্বারা শত্রুর আকাশে গর্জাবে এবং যখন বর্ষাবে, তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়বে।
ভারতে সুরক্ষা অনুসন্ধান সংগঠন ডিআরডিও-র সংস্থা অ্যারোনোটিক্যাল ডেভলপমেন্ট এস্টাবলিশমেন্ট সম্প্রতি একটি টেন্ডার বের করেছে। যার মধ্যে বলা হয়েছে যে উইন্ড টানেল মডিউল সাপ্লাই করতে হবে। যা আইআইটি কানপুরে মজুত থাকা ন্যাশনাল চ্যানেল টেস্টিং প্রসিডিউরের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।এই টানেল এ কারণে বানানো হবে যাতে এর ভেতরে ভারতের FUFA টেস্টিং হতে পারে।
FUFA মানে ফিউচারিস্টিক আনম্যানড ফাইটার এয়ারক্রাফট। এটি ভবিষ্যতে এমন একটি ফাইটার জেট, যাতে কোনও চালক থাকবে না। যা ঘরে বসেই অপারেট করে ড্রোন হামলার জন্য ব্যবহার করা যাবে। শত্রুর ঘরে ঢুকে তাকে ত্রস্তব্যস্ত করে ফেলা সম্ভব হবে নিজের দেশে বসেই।
এই প্রজেক্ট এখনও শুরুর পরিস্থিতিতে রয়েছে। এ কারণে এর বিষয়ে খুব বেশি তথ্য এখনও পর্যন্ত শেয়ার করা হয়নি এবং এর প্ল্যান কি রয়েছে সেটা পরিষ্কার করে জানানো হয়নি। কিন্তু দুনিয়াভরের এই ধরনের প্রজেক্ট এর উপর কাজ হচ্ছে। এই টেকনিকে স্বদেশি পদ্ধতিতে পথ চলার আশা রয়েছে। বিভিন্ন দেশের মানবরহিত ফাইটার এয়ারক্রাফট বানানো প্রয়াস চলছে যাতে সেনাবাহিনীর শক্তি গুন বেড়ে যায়।
ফুফা-এর মাধ্যমে ভারত ৪ রকমের বড় কাজ করতে পারবে। প্রথমত স্ট্র্যাটেজিক অফেন্সিভ, দ্বিতীয়ত ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট, তৃতীয়ত মিসাইল অফেন্সিভ, চতুর্থত আকাশ সুরক্ষা ভেদ করে শত্রুর বায়ু সুরক্ষা শেষ করে দেওয়া। এই চার কাজের জন্য মাধ্যমে ভারত যে কোনও শত্রুর পরিস্থিতি খারাপ করতে পারে।
হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড এমনই অটোমেটিক মানব রোহিত এরিয়েল বিমানের ওপর কাজ করছে। এটি অন্য লড়াকু বিমান এর সাপোর্ট এর সঙ্গে আকাশে ওড়ে। এর সর্বাধিক take-off ওজন ২১০০ কেজি। কিন্তু এর ভবিষ্যতের স্বরূপ ফুফা ৫ হাজার ৫০০ কেজি পেলোড নিতে পারবে।
এছাড়া ভারত হাইপারসনিক গ্লাইডার হাতিয়ার বানাচ্ছে। যার পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। সুরক্ষা অনুসন্ধানের বিকাশ সংগঠন ডিআরডিও মানবরহিত স্ক্র্যামজেট সফল পরীক্ষা ২০২০তে করে ফেলেছে।
এছাড়া রাশিয়া এবং ভারত মিলে ব্রহ্মস ৫৫৫ সুপারসনিক মিসাইল বানাচ্ছে। এই মিসাইল এর সবচেয়ে বেশি ৬০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হবে কিন্তু এর গতি অত্যন্ত বেশি। এটিএম ১ ঘন্টায় অর্থাৎ ৮৫৭৫ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে শত্রুর উপর আক্রমণ করবে। এটি জাহাজ, সাবমেরিন অথবা মাটিতে লাগানো কোনও লঞ্চ থেকে ডেকে দেওয়া যাবে। এটি মনে করা হচ্ছে আগামী বছর তৈরি হয়ে যাবে।
ভারতের এটি প্রথম হাইপারসনিক লাইট ভেহিকেল হবে। আপাতত কনসেপ্টের স্তরে রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে যে এটি ম্যাগপাই অর্থাৎ প্রায় চার হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে উঠবে। ভারত সরকারের সঙ্গে একটি নিজস্ব কোম্পানির মিলে এই প্রজেক্ট এর উপর কাজ করছে। এই আধিকারিক নাম জিভি 2021 রাখা হয়েছে। এর ডিজাইন ছবি সামনে এখনো আসেনি।
সমস্ত ছবি প্রতীকী