Advertisement

SpaDeX: ইতিহাস গড়ার পথে ISRO, ৪৭৫ কিমি উচ্চতায় 'জুড়তে' চলেছে দুই স্যাটেলাইট

মহাশ্যূনে ভাসমান দুই স্যাটেলাইটকে সংযুক্ত করার পথে আরও এক ধাপ এগোল ইসরো। রবিবার দুই স্যাটেলাইট একে অপরের প্রায় কাছাকাছি আনতে সফল হলেন বিজ্ঞানীরা। দুই কৃত্রিম উপগ্রহের মাঝের দূরত্ব ছিল মাত্র ৩ মিটার। 

শিল্পীর কল্পনায় SpaDexশিল্পীর কল্পনায় SpaDex
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 12 Jan 2025,
  • अपडेटेड 11:16 AM IST

মহাশ্যূনে ভাসমান দুই স্যাটেলাইটকে সংযুক্ত করার পথে আরও এক ধাপ এগোল ইসরো। রবিবার দুই স্যাটেলাইট একে অপরের প্রায় কাছাকাছি আনতে সফল হলেন বিজ্ঞানীরা। দুই কৃত্রিম উপগ্রহের মাঝের দূরত্ব ছিল মাত্র ৩ মিটার। 

স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট(SpaDex) অভিযানের মূল লক্ষ্যই হল মহাকাশে দু'টি কৃত্রিম উপগ্রহকে পাশাপাশি জুড়ে ফেলা। এর দুইটি অংশ রয়েছে। SDX01, নামের একটি স্যাটেলাইট। একে চেজার বলা হচ্ছে। অর্থাৎ, এটি 'তাড়া' করছে। অন্যদিকে অপরটি হল SDX02- যাকে টার্গেট বলা হচ্ছে। অর্থাৎ, এই মিশনের লক্ষ্য হল SDX01-কে নিয়ে গিয়ে SDX02-এর সঙ্গে জুড়ে দেওয়া। 

এর আগে গত ১০ জানুয়ারি এই দুই উপগ্রহের মধ্যে দূরত্ব ছিল ২৩০ মিটার। সেখান থেকে সুপরিকল্পিত পদ্ধতিতে দূরত্ব কমাতে কমাতে মাত্র ৩ মিটারে নামিয়ে আনা হয়েছে। আপাতত সমস্ত ডেটা বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত সবুজ সংকেত মিললেই সমস্ত দূরত্ব ঘুচিয়ে একেবারে একসঙ্গে জুড়ে যাবে দুই কৃত্রিম উপগ্রহ। 

প্রথমে স্যাটেলাইট থেকে একটি রোবোটিক আর্ম বেরিয়ে আসবে। এই 'হাত' বাড়িয়ে হুকের মাধ্যমে এক স্যাটেলাইট অপরটিকে নিজের দিকে টেনে নেবে। 

ছবি: ইসরো

গত ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪-এ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে PSLV C60 রকেটের মাধ্যমে এই দুই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছিল। তাদের পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার দূরত্বে একটি বৃত্তাকার কক্ষপথে অবস্থান করানো হয়েছে। 

এতে কী লাভ হবে?

বর্তমানে মহাকাশ স্টেশনে যে যানগুলি মহাকাশচারী, বিভিন্ন পেলোড নিয়ে যায়, সেগুলিকেও এভাবে ডকিং করা হয়। এর ফলে নিরাপদে মহাশূন্যে যান থেকে বের হয়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে প্রবেশ করা যায়। 

শুধু তাই নয়, এই একই পদ্ধতিতে পৃথিবী থেকে একটি স্যাটেলাইট পাঠিয়ে, তার মাধ্যমে পুরানো স্যাটেলাইটের রক্ষণাবেক্ষণ, নতুন করে জ্বালানি ভরার কাজ করা যেতে পারে। 

ফলে আগামিদিনে বৃহত্তর মহাকাশ অভিযানের দিগন্ত খুলে দিতে পারে এই পরীক্ষা। এমনিতেও ইসরো মহাকাশে মানুষ পাঠানোর লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে। ফলে সেক্ষেত্রে এই পরীক্ষা যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলা যেতেই পারে। 

Advertisement

TAGS:
Read more!
Advertisement
Advertisement