মোহালির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের Video (Mohali Viral Video) ফাঁস নিয়ে দেশজুড়ে তুমুল বিতর্ক । অভিযোগ, হস্টেলের এক ছাত্রী নিজেই অন্যদের স্নানের ভিডিও তৈরি করে তা লিক করে দেয়। ভিডিওটি সামনে আসার পর কয়েকজন ছাত্রী আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে কলেজ প্রশাসন অভিযোগ অস্বীকার করছে।
এপ্রসঙ্গে জেনে রাখা ভালো, এই রকম Video ফাঁস হলে অনেক ওয়েবসাইটে সেগুলো আপলোড করা হয়। ফলে Video Viral হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তবে, কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করলে পর্ণ সাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটগুলিতে আপলোড করা ভিডিও বা ফটো ডিলিট করা যায়।
এসব ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা করতে হবে সেটা হল স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা। এতে সময় বেশি লাগতে পারে। সেজন্য সাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিডিওটি মুছে ফেলতে পারেন। ওয়েবসাইটগুলো সাধারণত কপিরাইট নীতি অনুসরণ করে। তাই ওই ওয়েবসাইট কর্তপক্ষ এই ধরনের পোস্ট সরিয়ে দেন। আপনি যদি ওয়েবসাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন, তাহলেও অন্য রাস্তা আছে।
সেজন্য আপনাকে থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট www.whois.com-এর সাহায্য নিতে পারেন। এতে যে কোন সাইটের ডোমেইন নেম এন্টার করার পর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর সম্পূর্ণ ডিটেলস পাওয়া যায়। তারপরে আপনি সাইটের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভিডিওটি সরানোর অনুরোধ করতে পারেন৷ ভিডিওটি যদি কোনো পর্নো সাইটে আপলোড করা হয়ে থাকে তাহলে তা ডিলিট করা সহজ হয়। এর জন্য ভিডিওর নিচে রিপোর্ট করার অপশন দেওয়া আছে। এটির মাধ্যমে, আপনি একটি ভিডিও সম্পর্কে তথ্য পূরণ করে জমা দিতে পারেন এবং কেন আপনি এটি সরাতে চান। এটি সাইটের মালিককে ভিডিওটি মুছে ফেলার অনুমতি দেয়৷ গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকেও কন্টেন্ট মুছে ফেলা যেতে পারে যদি গুগল সার্চ রেজাল্টে কোনো আপত্তিকর ছবি বা ভিডিও দেখা যায়, তাহলে আপনি সেটিও সরিয়ে দিতে পারেন। এর জন্য আপনাকে গুগলে যোগাযোগ করতে হবে। এর জন্য
এছাড়াও, আপনি এখানে ক্লিক করে সরাসরি সাইটটি অ্যাক্সেস করতে পারেন। এতে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে নারীদের অনেক সাহায্য করা হয়। যদি আপনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো ব্লগে কোনও ছবি বা ভিডিও দেখা যায়, তাহলে গুগল আপনাকে তাতেও সাহায্য করবে। এর জন্য আপনাকে https://support.google.com/blogger/contact/private_info-এ যেতে হবে। আপনি সরাসরি এখানে ক্লিক করে এই সাইটটি খুলতে পারেন।
এই বিষয়ে লখনউ সাইবার ক্রাইমের SP ত্রিবেণী সিং জানান, যে কোনও Video Viral হলে অনেকের জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। তিনি মনে করেন যে তাঁর Videoটি চিরকাল কোনও না কোনও প্ল্যাটফর্মে থেকেই যাবে। তবে বর্তমানে সাইবার ক্রাইম অনেক আপডেট হয়েছে। যদি কোনও ভিডিও কোনও সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে থাকে, তবে পুলিশ প্রথমে তার হোস্ট ওয়েবসাইট খুঁজে পেতে তার ফরেনসিক সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে। সাইবার ইউনিট কোন ওয়েবসাইট এটি হোস্ট করেছে তা জানা খুব সহজ। এভাবেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।