Advertisement

ইউটিলিটি

এই কাপে চা খেলে প্রতি চুমুকে পেটে প্লাস্টিক! চাঞ্চল্যকর তথ্য IIT-খড়গপুরের

Aajtak Bangla
  • 08 Nov 2020,
  • Updated 3:55 PM IST
  • 1/11

ডিজপোজেবল কাপে চা খাওয়া মারাত্মক ক্ষতিকর, সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, খড়্গপুর। স্টাডিতে দেখা গিয়েছে ডিসপোজেবল কাপে করে যদি কোনও ব্যক্তি তিনবার চা পান করেন তাহলে তিনি আদতে ৭৫ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক পার্টিকল খাওয়ার সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করাচ্ছেন। অবশ্যই তা অজান্তে। 

  • 2/11

এই গবেষণার যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন সেই আইআইটি খড়গপুরের সহকারী অধ্যাপক সুধা গোয়েলের মতে, ডিসপোজেবল পেপার কাপগুলি বর্তমানে পানীয় গ্রহণের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় পছন্দ হয়ে উঠেছে সকলের কাছে। 

  • 3/11

সুধা গোয়েলের কথায়, "আমাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে এই কাপে গরম পানীয় পরিবেশন করলে মাইক্রোপ্লাস্টিক এবং অন্যান্য বিপজ্জনক উপাদানগুলির আস্তরণ উঠে গিয়ে তা শরীরে ঢুকে যাচ্ছে। কাগজের কাপে সাধারণত হাইড্রোফোবিক ফিল্মের একটি পাতলা স্তর থাকে যা বেশিরভাগই প্লাস্টিকের (পলিথিন) তৈরি। ১৫ মিনিটের বেশি সময় গরম পানীয় থাকলেই নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করে এই কাপ।

  • 4/11

অধ্যাপক বলেন, "আমাদের সমীক্ষা অনুসারে, ২৫ হাজার মাইক্রন-আকারের (১০ µm থেকে ১০০০ µm) মাইক্রোপ্লাস্টিক কণাগুলি পেপার কাপগুলিতে ১০০ মিলি গরম তরল (85 - 90 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড) এ দিলেই গলতে শুরু করে। যেহেতু এই কণাগুলি ক্ষুদ্রতর মাইক্রোপ্লাস্টিক তাই সকলের চোখে অদৃশ্যই থাকে।

  • 5/11


গবেষকরা দুটি পৃথক পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন - প্রথম পরীক্ষাতে, গরম আল্ট্রা পিওর (মিলিকিউ) জল (85-90 ডিগ্রি সেলসিয়াসে) ডিজপোসেবল  কাগজের কাপগুলিতে দেওয়া হয়েছিল। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। 

  • 6/11

সুধান গোয়েল বলেন, সেই মিশ্রিত জলটিতে মাইক্রোপ্লাস্টিকগুলির উপস্থিতি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত আয়নগুলির জন্য যখন বিশ্লেষণ করা হয় তখন তা কাগজের কাপগুলি থেকে তরল পদার্থের সঙ্গে বেরিয়ে আসে।" 
 

  • 7/11

এরপর হাইড্রোফোবিক ফিল্ম সরিয়ে যখন পেপার লেয়ারটিকে ঈষদুষ্ণ গরম জলে দেওয়া হল তখন প্যালাডিয়াম, ক্রোমিয়াম এবং ক্যাডিয়াম রাসায়ানিক পদার্থগুলিও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করে। 
 

  • 8/11

দেখা গিয়েছে এই জাতীয় প্লাস্টিকের কাপে গরম জল রাখা মানে সেটির মধ্যে ফিজিকাল, কেমিকাল এবং মেকানিকাল পরিবর্তনও ঘটে। 

  • 9/11


এই গবেষণায় সুধা গোয়েলের সঙ্গে রয়েছেন পরিবেশবিদ্যা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের রিসার্চ স্কলার বেদ প্রকাশ রঞ্জন এবং অনুজা জোসেফ।

  • 10/11

আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর বীরেন্দ্র কে তিওয়ারি বলেন, "পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পণ্য এবং পরিবেশ দূষণকারী পদার্থ সাবধানতার সঙ্গে অবলম্বন করা উচিত।" 
 

  • 11/11

ডিরেক্টরের কথায়, "যদিও প্রয়োজনীয়তা ছিল আমাদের পরিবেশ-বান্ধব পণ্যগুলি খুঁজে বের করা। এখন সেই সময় যখন নিজেদের এর প্রতিকার খোঁজার সময় এসেছে।"

Advertisement
Advertisement