অফিসের জরুরি মিটিং চলছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মাথাটা ধরে গেল। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকল যন্ত্রণা। ব্যথার চোটে তখন চোখ মেলে রাখাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়! যাঁদের আছে, তাঁরা জানেন। এটা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা।
মাইগ্রেন এক বিশেষ ধরনের তীব্র মাথা যন্ত্রণা। মাথার যে কোনও এক পাশ থেকে এই যন্ত্রণা শুরু হয়ে এবং ক্রমশ তা মারাত্মক কষ্টকর হয়ে ওঠে। তাই একে ‘আধ-কপালি’ ব্যথাও বলতেন অনেকে। মাইগ্রেনের ব্যথা অত্যন্ত কষ্টদায়ক এবং দীর্ঘস্থায়ী।
মাইগ্রেনের যন্ত্রণা এতটাই অস্বস্তিকর যে অনেকেরই এর ফলে বমি ভাব দেখা দেয়। ওষুধ খেয়ে, মাথা টিপে— কোনও কিছুতেই তখন কোনও ফল হয় না!
ইদানীং মাইগ্রেনের সমস্যা প্রায় ঘরে ঘরে দেখা যায়। অনেকেই আজকাল এই অসহ্য মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। কিন্তু কেন এই সমস্যা দেখা দেয়? মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কী করবেন? এ বিষয়ে ঠিক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? চলুন জেনে নেওয়া যাক...
আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পত্রিকা ‘নিউরোলজি'-তে এ বিষয়ে মার্কিন গবেষকদের একটি গবেষণাপত্র বছর খানেক আগে প্রকাশিত হয়। মাইগ্রেনের সমস্যার কারণ ও সমাধান অনুসন্ধানের লক্ষ্যে পরিচালিত এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবেই এই সমস্যা সৃষ্টি হয় আর ঘুমই হল এর একমাত্র সমাধান।
মার্কিন গবেষকদের দাবি, যাঁরা প্রায় নিয়মিত মাইগ্রেনের সমস্যায় ভোগেন এমন অন্তত ৯৮ জন প্রাপ্তবয়স্ককে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন। এই ৯৮ জন প্রাপ্তবয়স্ককে নিয়ে চালানো সমীক্ষার পর গবেষকদের দাবি, মূলত পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবই মাইগ্রেনের সমস্যাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে বহুগুণ! এই ৯৮ জনের মধ্যে অধিকাংশেরই পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব রয়েছে। অনেকেরই ঘুম খুবই অনিয়মিত।
মার্কিন গবেষকদের মতে, মাইগ্রেনের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে শুধু বিছানায় শুয়ে থাকলেই চলবে না, চাই নিরুপদ্রব ঘুম। তাঁদের মতে, যাঁদের এই সমস্যা রয়েছে, তাঁরা অন্তত টানা ৮ ঘণ্টা ঘুম দিতে পারলেই মাইগ্রেনের এই সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পেতে পারেন।