করোনার মহামারির কারণে বেশ কয়েক মাস বন্ধ থাকা ভারতীয় রেল এখন সারাদেশে সুচারু ভাবে চালু হয়েছে। একাধিক সতর্ক বিধির সঙ্গে দেশজুড়ে রেল পরিষেবা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টাও করছে। তবে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার ট্রেনগুলি এখনও পুরোপুরি নিয়মিত করা যায়নি।
গত ডিসেম্বরে রেলওয়ে বোর্ডের সভাপতি ভিকে যাদব এক সংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে, চলতি অর্থবছরে যাত্রীদের কাছ থেকে রেলপথের যে আয় হয়েছে তা প্রায় ৪,৬০০ কোটি টাকা।
তবে এই ভাড়া বৃদ্ধির কারণ হিসাবে করোনাকেই সামনে আনছে রেল বোর্ড। রেলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, অযথা ট্রেনে যাতায়াত কমানোর জন্যই স্বল্প দূরত্বের ট্রেনের ভাড়া সামান্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্বল্প দূরত্বের ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গে রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্বল্প দূরত্বের ট্রেনেই যাত্রীদের ভীড়ের চাপ বেশি থাকে। বাড়ন্ত করোনা সংক্রমণের আবহে সেই চাপ কিছুটা কমাতেই স্বল্প দূরত্বের ট্রেনের ভাড়া সামান্য বাড়ানো হয়েছে।
তেল, গ্যাসের পর এ বার লোকসানে চলা রেলেরও ভাড়া বাড়ল।
বর্তমানে সব মিলিয়ে ১২৫০টি মেল-এক্সপ্লেস ট্রেন আর ৩২৬টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন চালাচ্ছে রেল। রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর মাত্র ৩ শতাংশই হল স্বল্প দূরত্বের ট্রেন। এ ছাড়াও শহরতলিতে ৫৩৫০টি লোকাল ট্রেন চলে যার উপর প্রতিদিন কলেক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। রেল জানিয়েছে, এই ভাড়া বৃদ্ধি শুধুমাত্র অসংরক্ষিত টিকিটের উপরই ধার্য করা হয়েছে।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, করোনার কারণেই প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ভাড়া ওই একই দূরত্বের অসংরক্ষিত মেল ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার সমান করা হয়েছে।
বর্তমানে দেশজুড়ে শুধু বিশেষ যাত্রিবাহী ট্রেন চলছে। পুরনো টাইমটেবিল অনুযায়ী সমস্ত ট্রেন এখনও চালু হয়নি।
PIC by PTI