বর্ষাকালে সাপের উপদ্রব বাড়ে। জলে, জঙ্গলে, রাস্তাঘাটে সাপের আনাগোনা বাড়ে। কোনও কোনও সাপ তো আবার বাড়িতেও বাসা বাঁধে। বাড়িতে যে সব সাপ বাসা করে তারা সাধারণত বিষাক্ত হয়ে থাকে।
বাড়িতে সাপ সাধারণত বাসা বাঁধে খাবারের খোঁজে বা নিরাপদে থাকার জন্য। বাড়িতে যে পোকামাকড়, ইঁদুর থাকে তাই খেয়ে বেঁচে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্ষাকাল চলে গেলে সেই সব সাপ ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। কোনও কোনওটা আবার থেকেও যায়।
সেজন্য গ্রীষ্ম থেকে বর্ষাকাল এই সময়ের মধ্য়ে ঘর থেকে বা লোকালয়ে সব থেকে বেশি সাপ উদ্ধার হয়। যদিও বাড়িতে সাপ থাকা মোটেও সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। সাপের কোনও ক্ষতি না করলে তারা কামড়ায় না এটা ঠিকই কিন্তু দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।
সেজন্য বর্ষাকালে ঘর দুয়োর পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন। যে সব জায়গায় সাপ থাকতে পারে যেমন, খাটের তলা, চিলেকোঠার ঘর, ঘরের কোণ, রান্নাঘর খুব ভালোভাবে পরীক্ষা করা দরকার।
বাড়ির আশপাশে কোনও ঘর বাড়ি নির্মিত হলে বেশি সাবধান থাকতে হবে। কারণ, বালি, ইট, পাথরের জঙ্গলেও সাপের আনাগোনা বেশি থাকে। তবে সবথেকে বেশি সাবধান থাকা দরকার বাড়ির ভিতরে। আপনার ঘরে বা বাড়িতে সাপ যে লুকিয়ে আছে তা কতগুলো প্রাথমিক লক্ষণে বোঝা যায়। সেগুলো কী কী? আসুন জেনে নিই।
সাপের গায়ে একটা বোটকা গন্ধ থাকে। কোনও কোনও সাপ আবার হিস হিস শব্দও করে। তাই বাড়িতে যদি এমন শব্দ পান তাহলে সতর্ক হয়ে যান।
সাপ খোলস ছাড়ে। বিষাক্ত ও নির্বিষ এই দুই সাপই খোলস ত্যাগ করে। ফলে বাড়িতে বা তার আশপাশে সাপের খোলস দেখলে সাবধান হয়ে যান।
সাপ ইঁদুর খায়। যদি দেখেন বাড়িতে ইঁদুরের উপদ্রব হঠাৎ কমে গিয়েছে তবে জানবেন সাপ বাসা বেঁধে থাকতে পারে বাড়িতে। সেক্ষেত্রে ফাঁদ পেতে দেখতে পারেন ইঁদুর আছে কি না।
সাপের বিষ্ঠা দেখতে অনেকটা পাখির মলের মতো। বাড়িতে এমন কিছু দেখলে সাপ ধরেন এমন কাউকে ডেকে আনুন।
সাপ অন্ধকার, উষ্ণ ও নিরাপদ জায়গা পছন্দ করে। তাই দেওয়ালের ফাটল, বেসমেন্ট, গ্যারেজ, বা স্টোরেজ রুমগুলো ভালোভাবে দেখুন।