Advertisement

How to be Rich: এভাবে টাকা রাখলেই বড়লোক হবেন, বিখ্যাত অর্থনীতিবিদের ফর্মুলাটা শিখুন

50/50 Investing Method: একটি ব্যালেন্সড অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন। ধীরে ধীরে টাকা বাড়াতে হবে। আর তার বেস্ট উপায় হল '৫০/৫০ ইনভেস্টিং মেথড'। বড়লোক বিনিয়োগকারীদের অনেকেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন।

বিনিয়োগের এই পদ্ধতি শিখে রাখুন।বিনিয়োগের এই পদ্ধতি শিখে রাখুন।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 24 Nov 2025,
  • अपडेटेड 4:01 PM IST
  • বিনিয়োগ বিষয়টাই এখনও অনেকের কাছে খটমট একটা ব্যাপার।
  • একটি ব্যালেন্সড অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন।
  • বেস্ট উপায় হল '৫০/৫০ ইনভেস্টিং মেথড'।

বিনিয়োগ বিষয়টাই এখনও অনেকের কাছে খটমট একটা ব্যাপার। সেই কারণে বাজারে ২ ধরনের মানুষ দেখা যায়। একদল চোখ বুজে সব টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা FD তে ফেলে রাখেন। আরেক দল শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ছাড়া কিছু বোঝে না। কিন্তু এই দুই ধরনের অ্যাপ্রোচই ভুল। বিশেষত দ্বিতীয়টি। তাহলে কী করবেন? একটি ব্যালেন্সড অ্যাপ্রোচ প্রয়োজন। ধীরে ধীরে টাকা বাড়াতে হবে। আর তার বেস্ট উপায় হল '৫০/৫০ ইনভেস্টিং মেথড'। বড়লোক বিনিয়োগকারীদের অনেকেই এই পদ্ধতি অনুসরণ করেন। এই পদ্ধতির জনক মনে করা হয় বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ বেনজামিন গ্রাহামকে। তাঁর মতে, কম ঝুঁকি নিতে চান এমন বিনিয়োগকারীদের জন্য এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়। তাছাড়া যাঁরা একটু বেশি ঝুঁকি নিয়ে শেয়ার বাজারে নামতে চান, তাঁদের জন্যও এটি বেশ ভাল। কীভাবে? তার আগে জানুন এই ফিফটি ফিফটি মেথড ঠিক কী।

৫০/৫০ পদ্ধতি ঠিক কী?
এই পদ্ধতিতে আপনার মোট বিনিয়োগকে দু’ভাগে ভাগ করতে হবে:

৫০% ইকুইটি
শেয়ার মার্কেট, ইকুইটি মিউচুয়াল ফান্ড, ETF ইত্যাদিতে বিনিয়োগ

৫০% সেফ বিনিয়োগ
বন্ড, FD, রেকরিং ডিপোজিট, টিডিএস, ভাল জমি-বাড়ি, পিপিএফ ইত্যাদিতে

অর্থাৎ, অর্ধেক টাকা ঝুঁকিপূর্ণ কিন্তু হাই রিটার্ন আছে, এমন জায়গায়। বাকি অর্ধেক নিরাপদ বা কম ঝুঁকিুপূর্ণ খাতে।

এই স্ট্র্যাটেজি জনপ্রিয় কেন?

ব্যালেন্সড গ্রোথ
শেয়ার বাজার ভাল চললে আপনার ইকুইটির অংশ দ্রুত হারে বাড়বে। আর বাজার খারাপ হলে সেক্ষেত্রে আপনার কিছু টাকা তো এফডি-র মতো খাতে জমে থাকছেই।

রিস্ক ম্যানেজমেন্ট
ধরুন আপনার সব টাকা শেয়ারে। তখন কিন্তু বাজার পড়ল মানেই বিশাল ক্ষতি!

কিন্তু ৫০/৫০ পদ্ধতিতে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। আপদকালীন পরিস্থিতিতে হাত কামড়াতে হয় না।

খুব সহজও
নতুন নতুন যাঁরা বিনিয়োগ শুরু করছেন, তাঁদের জন্য এটি মাথায় রাখা ও হিসাব করা বেশ সহজ।

উদাহরণ
ধরুন আপনার মোট বিনিয়োগের পোর্টফোলিও ১০ লক্ষ টাকার। সেক্ষেত্রে এই নিয়মে,

ইকুইটি ৫ লক্ষ টাকা বেশি রিটার্নের সুযোগ
ফিক্সড ডিপোজিট ৫ লক্ষ টাকা কম হলেও স্টেডি রিটার্ন 

মাঝে মাঝে নিজের পোর্টফোলিও দেখে ব্যালান্স করে নিলেই হবে। ধরুন কোনও শেয়ার বেচে বা মিউচুয়াল ফান্ডে দারুণ রিটার্ন পেলেন, সঙ্গে সঙ্গে তার অর্ধেক এফডি করে ফেলুন। বাকিটা ফের বাজারে খাটাতে থাকুন।

Advertisement

তাই দ্রুত ধনী হওয়ার চেষ্টা নয়, বরং ধীরে ধীরে স্থির রেটে টাকা বাড়াতে থাকুন। মনে রাখবেন, এই মূল্যবৃদ্ধির যুগে আপনার আজকের সঞ্চয়ই ভবিষ্যতের আয় হয়ে দাঁড়াবে। তাই বুদ্ধি খাটিয়ে বিনিয়োগ করুন। 

দ্রষ্টব্য: শেয়ার, বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলি বাজার পর্যবেক্ষণ মাত্র। এগুলি বিনিয়োগের পরামর্শ নয়। বাজারে বিনিয়োগের আগে অবশ্যই পড়াশোনা করুন এবং বিশেষজ্ঞের সাহায্য গ্রহণ করুন।

Read more!
Advertisement
Advertisement