সপ্তম বেতন কমিশনের পর কি আসছে অষ্টম বেতন কমিশন? লোকসভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরী জানিয়ে দিয়েছেন, আপাতত সপ্তম বেতন কমিশনের কোনও পরিকল্পনা নেই সরকারের। অর্থ মন্ত্রক স্পষ্ট করে দিয়েছে, আগামী দিনে নতুন ফর্মুলায় বেতন বাড়বে সরকারি কর্মীদের। কী সেই ফর্মুলা?
২০১৬ সালের গোড়ায় সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশগুলি কার্যকর করা হয়েছিল। কিন্তু অষ্টম বেতন কমিশন আর গঠিত হচ্ছে না বলে লোকসভায় লিখিত জবাবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী। তিনি জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন নির্ধারণের জন্য অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের কোনও ভাবনা নেই। নতুন ফর্মুলায় প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করা হবে। তিনি এও জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের বেতন, ভাতা এবং পেনশন পর্যালোচনার জন্য বেতন কমিশন গঠনের প্রয়োজন হবে না।
নতুন ফর্মুলা কী?
সরকারি সূত্রের খবর, সরকারি কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য ভাতা এবার থেকে অ্যাক্রয়েড ফর্মুলায় স্থির করা হতে পারে। এই ফর্মুলায় কর্মচারীদের বেতন নির্ভর করবে মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাত্রার ব্যয় এবং কর্মক্ষমতার উপর। কর্মচারীদের পদোন্নতিও সেই অনুযায়ী হবে। তবে এ ব্যাপারে এখনও সরকারের তরফে প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অষ্টম বেতন কমিশন গঠিত না হলেও ঠিক কোন ফর্মুলার প্রয়োগ হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। অর্থমন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, এটা ভাল প্রস্তাব। তবে বিবেচনা করা হয়নি।
ওয়ালেস রুডেল অ্যাক্রয়েড নামে এই ফর্মুলার জনক। তাঁর মতে, খাদ্য ও পোশাক সাধারণ মানুষের কাছে সবচেয়ে দরকারি বস্তু। দুটি জিনিসের দাম বাড়লে বেতনবৃদ্ধি করা উচিত। উল্লেখ্য, এর আগে সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশে বিচারপতি মাথুর বলেছিলেন, অ্যাক্রয়েড ফর্মুলায় বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা যেতে পারে। জীবনযাত্রার ব্যয়ও এই নিয়মে বিবেচনাধীন। বলে রাখি, সপ্তম বেতন কমিশনের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার কর্মচারীদের ন্যূনতম বেতন ৭,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৮,০০ টাকা হয়েছে। বিচারপতি মাথুর সুপারিশ করেছিলেন, মূল্যবৃদ্ধি মানদণ্ডে প্রতিবছর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মাইনে বাড়ানো উচিত।
আরও পড়ুন- মূল্যবৃদ্ধি-স্বস্তি দিতে সরকারি কর্মীদের DA বৃদ্ধির ভাবনা, কত হবে বেতন?