AC Local Train Facilities: শিয়ালদায় AC লোকাল ট্রেন, ভেতরটা কেমন-কী কী সুবিধা? PHOTOS

প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, আপাতত ১২ কোচের দু’টি রেক দেওয়া হচ্ছে। পরে এসি লোকাল ট্রেন আরও বাড়ানো হতে পারে। জানা গিয়েছে,এসি লোকালের ট্রায়াল শেষ হয়েছে ইতিমধ্য়েই। তবে এই এসি লোকাল ট্রেন কোন-কোন স্টেশনে থামবে, তা এখনও পর্যন্ত সুনিশ্চিত করা হয়নি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ভাড়া যাতে সাধারণ যাত্রীদের সাধ্যের মধ্যেই থাকে, সে কথা মাথায় রেখেই  নির্ধারণ করা হয়েছে । সিঙ্গল জার্নি অর্থাৎ একদিকে যাওয়ার ক্ষেত্রে ১০ কিলোমিটারের জন্য দিতে হবে ২৯ টাকা ভাড়া। ১০ কিলোমিটারের বেশি হলে, ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব যাওয়ার ভাড়া লাগবে ৩৭ টাকা। ১০ কিলোমিটারের জন্য একমাসের সিজন টিকিটের জন্য খরচ পড়বে ৫৯০ টাকা। আর ১১ থেকে ১৫ কিলোমিটারের জন্য সিজন টিকিটের দাম ৭৮০ টাকা। ১২ কোচের এই ট্রেনে এগারোশোর বেশি আসন থাকবে। 

 
কী কী সুবিধা থাকছে এই ট্রেনে? 
আধুনিক ব্যবস্থা থাকছে  এই ট্রেনগুলিতে। থাকছে সিসিটিভি ক্যামেরা। জিপিএস-নির্ভর এলইডি ডিসপ্লে। এসি লোকাল হলেও ট্রেনের ভিতরে যাত্রীদের সুবিধান জন্য  ফ্যানেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এই ট্রেনের সব কামরাতেই এসি থাকবে। পুরো ট্রেনটির কোচগুলি স্টেনলেস স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। ট্রেনে জিপিএস নিয়ন্ত্রিত আধুনিক প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম থাকছে। যাত্রীদের বসার এবং দাঁড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত জায়গা ও মালপত্র রাখার জন্য আধুনিক তাক থাকছে।

জানা গিয়েছে, স্টিল বডির যাত্রীবান্ধব এসি ট্রেনে সর্বোচ্চ প্রায় ১ হাজার ১০০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। সাধারণ ট্রেনের মতো কোচগুলি পৃথক হবে না। মেট্রোর মতো ভেস্টিবিউলের মাধ্যমে কোচগুলি সংযুক্ত থাকবে। যাত্রীদের জন্য থাকবে আরামদায়ক বসার আসন। পাশে থাকবে অ্যালুমিনিয়ামের রেক। যাত্রীদের ব্যাগপত্তর তাতে সহজেই রাখা যাবে। মেট্রোর মতোই স্ল্যাইডিং ডোর থাকবে। নির্দিষ্ট স্টেশনগুলিতে সুনির্দিষ্ট সময়ের জন্য তা খুলে যাবে। যাত্রী তুলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ ট্রেনের বাইরে নির্দিষ্ট রুটে এসি লোকালের জন্য নতুন সময়সূচি তৈরি হবে। অর্থাৎ বর্তমানে ট্রেনের সময়সরণীতে বিঘ্ন না ঘটিয়ে, এসি পরিষেবা চালু হবে বলে পূর্ব রেল সূত্রে জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছর রেল শিয়ালদা-দমদম রুটে এসি লোকাল চালুর কথা ঘোষণা করেছিল। এবার রানাঘাট রুটে সেই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হতে চলেছে। নতুন এই এসি ট্রেন শুরু হলে দক্ষিণ-পূর্ব ও মধ্য কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত নদিয়া ও নদিয়ার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলির নিত্যযাত্রীরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছে রেল। এই এসি লোকাল চালু হলে রাজ্যের লোকাল ট্রেন যাত্রায় এক নতুন যুগের সূচনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন শুধু অপেক্ষা- কবে থেকে পাকাপাকিভাবে শুরু হবে এই পরিষেবা।