
এখন অনেকেই গয়না সোনা কিনছেন না। তার বদলে ভরসা রাখছেন ডিজিটাল গোল্ডের উপর। কিন্তু মুশকিল হল, বর্তমানে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া বা সেবি ইতিমধ্যেই এই ধরনের সোনা নিয়ে সতর্ক করেছে। তারা জানিয়েছে, কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ডিজিটাল গোল্ডের নামে অদ্ভুত সব প্রোডাক্ট সামনে এনেছে। যেগুলি নিয়ে সাবধান হতে হবে। এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা এটা পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছে যে কিছু প্রোডাক্ট 'সুরক্ষা' আইনের মধ্যে রয়েছে। তবে সব প্রোডাক্ট নেই। আর সেটাই কিন্তু বিপদ বাড়াতে পারে।
৮ নভেম্বর সেবি-র একটি নোটিফিকেশন জানিয়েছে, এক্সচেঞ্জ ট্রেডেট কমোডিটি ডেরিভেটিভস কন্ট্র্যাক্ট, গোল্ড এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস এবং ইলেকট্রনিক গোল্ড রিসিপ্টের মাধ্যমে ডিজিটাল সোনা কেনা বৈধ। এগুলি সেবির প্রোটেকশন ফ্রেমওয়ার্ক বা সুরক্ষার আওতায় রয়েছে।
যদিও সেবা জানিয়েছে যে, কিছু কিছু সংস্থা এই সুযোগে এমন কিছু প্রোডাক্ট সামনে এনেছে, যেগুলি গয়না সোনার বিকল্প বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর এখানেই আপত্তি সংস্থার। সেবি-র তরফে জানান হয়েছে, এগুলি সিকিউরিটিস বা কমিউনিটি ডেরেভিটিভসের অধীনে পড়ে না। এই সব প্রোডাক্ট সেবি-র আইনের বাইরে দাঁড়িয়ে কাজ করে।
আর এই ধরনের প্রোডাক্টে ইনভেস্ট করলেই বিপদের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছে সেবি। তাই সাবধান হতে হবে। নিজের টাকা ঠিক জায়গায় করতে হবে বিনিয়োগ।
এখন প্রশ্ন হল, সব ডিজিটাল গোল্ড ইনভেস্টমেন্ট কি অসুরক্ষিত?
সেবি কিন্তু একবারও বলেনি যে সব ডিজিটাল গোল্ডই অসুরক্ষিত। বরং তারা এটা জানিয়েছে যে কোনটা সুরক্ষিত এবং কোনটা অসুরক্ষিত ইনভেস্টমেন্ট। সেবি-র ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যেই সব প্রোডাক্ট রয়েছে, সেগুলি সুরক্ষিত নয়। অপরদিকে, যেগুলি এই ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে, সেগুলি অবশ্যই সুরক্ষিত।
এখন কী করতে পারেন?
এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। কোনওভাবেই ঘাড়বে যাওয়া চলবে না। তার বদলে সেবি-এর অ্যাপ্রুভ করা গোল্ড ইটিএফ এবং ইলেকট্রনিক গোল্ড রিসিপ্টে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। মিলবে লাভ। আপনার পয়সা জলে যাবে না।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।