প্রবাসী বাঙালি অর্থাৎ বিদেশে বসবাসকারী বাঙালিদের জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। নতুন একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। প্রবাসী বাঙালিদের পৃথক পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা (21 February International Mother Language Day) দিবসের দিন নতুন এক পোর্টালের উদ্বোন করা হয়েছে। এদিন এই পোর্টালের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পোর্টালের নাম 'আপন বাংলা' (Apon Bangla)। এই পোর্টালে নথিভুক্ত করলেই আপন বাংলা কার্ড (Apon Bangla Card) মিলবে।
কারা পাবেন আপন বাংলা কার্ড?
প্রবাসী ভারতীয় তথা বাঙালিরা এই ‘আপন বাংলা’ কার্ড পাবেন। এই আপন বাংলা পরিষেবা অনলাইনে পাওয়া যাবে। www.aponbangla.wb.gov.in পোর্টালে নিজেদের বিষয়ে নির্দিষ্ট তথ্য দেওয়ার পর হাতে পাবেন কার্ড।
আপন বাংলা কার্ড থাকার সুবিধা (Benefits Of Apon Bangla Card):
'আপন বাংলা পোর্টাল, প্রবাসী বাঙালি ও বিদেশে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী বাঙালিদের বিদেশের মাটিতে বসে পশ্চিমবঙ্গকে দেখার ও বোঝার জন্য ই প্ল্যাটফর্ম নির্ভর সেবার এক অনবদ্য প্রচেষ্টা। আপন বাংলা পোর্টালে প্রবাসী বাঙালিরা উপদেশ, আর্থিক সাহায্য, অভিযোগ, স্কুল কলেজের প্রাক্তনীদের মেলবন্ধন এবং নানান গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যেমন চলচ্চিত্র উৎসব, বইমেলা, পুজো কার্নিভাল এবং বিজনেস সামিট, এরকম বিবিধ ঘটনা সম্পর্কে খবরাখবর পাবেন এবং এতে অংশগ্রহণ করার সুযোগও তাঁরা পাবেন।
রাজ্য সরকারের লক্ষ্য:
প্রবাসী ভারতীয় তথা বাঙালিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং তাঁদের শিকড়ের আরও কাছে আনার জন্য নিজস্বতার অনুভূতি দেওয়া।
তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একটি সেতু তৈরি করা।
তাঁদের সমস্যাগুলিতে নজরদারি চালানো ও উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া। প্রয়োজনে স্কিম চালু করা।
প্রবাসী বাঙালিদের অসামান্য অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং তাঁদের 'আপন বাংলা প্রবাসী রত্ন পুরস্কার' দিয়ে সম্মানিত করা।
রাজ্যের অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশের জন্য তাঁদের সহযোগিতা পাওয়া।
আপন বাংলা কার্ড তৈরিতে কী কী লাগবে?
আপন বাংলা কার্ডের জন্য আবেদন করার প্রক্রিয়া (Process to Apply for Apon Bangla Card)
ধাপ ১ :
প্রথমে আপন বাংলা পোর্টাল www.aponbangla.wb.gov.in-তে লগইন করতে হবে।
রেজিস্ট্রারে উল্লিখিত বিশদ জমা দেওয়ার পরে, আপনাকে নিম্নলিখিত নথিগুলির স্ক্যান আপলোড করতে হবে:
ফটো (ফাইল ফর্ম্যাট: জেপিজি/জেপিজি এবং সর্বাধিক ফাইলের আকার: প্রতিটি ৫০ কেবি)
স্বাক্ষর (ফাইল ফর্ম্যাট: জেপিজি/জেপিইজি এবং সর্বাধিক ফাইলের আকার: প্রতিটি ৫০ কেবি)
পাসপোর্ট (একটি একক চিত্রের সামনে এবং পিছনে, ফাইল ফর্ম্যাট: জেপিজি/জেপিজি এবং সর্বাধিক ফাইলের আকার: প্রতিটি ২ এমবি)
ঠিকানা প্রমাণ (ফাইল ফর্ম্যাট: পিডিএফ/জেপিজি/জেপিজি এবং সর্বাধিক ফাইলের আকার: প্রতিটি ২ এমবি)
ধাপ ২ :
উপরে উল্লিখিত সমস্ত নথি আপলোড করার পরে, একটি সিস্টেম জেনারেটেড লিঙ্ক রেজিস্টার্ড ইমেল আইডিতে চলে যাবে। সেখান থেকে আবেদনকারী 'আপন বাংলা কার্ড' ডাউনলোড করতে পারেন।