অসংগঠিত ক্ষেত্রের চাকরিতে পেনশনের ব্যবস্থা নেই। অবসরের পর কীভাবে সংসার চলবে সেনিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন থাকেন। বৃদ্ধাবস্থায় পেনশন বড় ভরসা। সেই বন্দোবস্ত করেছে অটল পেনশন স্কিম। এতে প্রতি মাসে সামান্য টাকা সঞ্চয় করে বৃদ্ধ বয়সে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশনের সুবিধা নিতে পারেন।
অটল পেনশন যোজনা কী?
৬০ বছরের পেনশনের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য ২০১৫-১৬ সালে অটল পেনশন যোজনা শুরু করে মোদী সরকার। এই স্কিমের সুবিধা পান সেই সব মানুষ যাঁরা কোনও ধরনের সরকারি পেনশনের সুবিধা নিতে পারছেন না। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী ব্যক্তিরা পান এই প্রকল্পের সুবিধা।
কেন্দ্রের এই প্রকল্পটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের শেষে স্কিমে নথিভুক্ত করেছেন ৪ কোটির বেশি মানুষ। পেনশন ফান্ড রেগুলেটর (PFRDA) অনুযায়ী ২০২১-২২ আর্থিক বছরে ৯৯ লক্ষের বেশি APY অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। ২২ সালের মার্চে মোট গ্রাহক সংখ্যা ৪.০১ কোটিতে পৌঁছেছে।
অটল পেনশন স্কিমের সুবিধা
- ১৮ বছর বয়স থেকে অটল পেনশন স্কিম করা যায়। ৬০ বছর বয়সের পর প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা করে পেনশন মিলবে। এজন্য প্রতি মাসে মাত্র ২১০ টাকা জমা দিতে হবে।
- ১০০০ টাকা মাসিক পেনশন পেতে মাসে মাসে দিতে হবে ৪২ টাকা। ২০০০ টাকা মাসিক পেনশনের জন্য ৮৪ টাকা, ৩০০০ টাকার জন্য ১২৬ টাকা এবং ৪০০০ টাকার পেনশনের জন্য প্রতি মাসে ১৬৮ টাকা জমা দিতে হবে।
- এই স্কিমে বয়স যত কম হবে তত বিনিয়োগের পরিমাণ কমবে। মিলবে সুবিধা বেশি। ৬০ বছর বয়সের পরে ১০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পেনশন পাবেন।
- পেনশনপ্রাপকের মৃত্যু হলে টাকা পেয়ে যাবে পরিবার।
- অটল পেনশনের আর একটি সুবিধা হল, এই স্কিমে যে কোনও সময় টাকার অঙ্ক কমাতে বা বাড়াতে পারেন।
- অটল পেনশন যোজনার অধীনে কতটা পেনশন পাবেন তা নির্ভর করে কত টাকা জমা করছেন আর বয়সের ওপর।
- অটল পেনশন যোজনায় (APY) বিনিয়োগ করলে আয়কর আইন ৮০সি-এর অধীনে ১.৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত করছাড়ের সুবিধাও রয়েছে।
আবেদনের যোগ্যতা
- ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮-৪০৷
- আধার কার্ডের লিঙ্কড ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট৷
- আবেদনকারীর একটি মোবাইল নম্বর।
- ন্যূনতম ২০ বছর মাসে মাসে টাকা দিতে হবে।