ATM Card: আজকের সময়ে খুব কম লোকই থাকবে যারা এটিএম কার্ড ব্যবহার করেন না। এটিএম কার্ডের সাথে এমন কিছু সুবিধা (ATM Card Benefits) রয়েছে যা অনেকেই জানেন না। তথ্যের অভাবে মানুষ বিনামূল্যে পাওয়া প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ব্যবহার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
ব্যাঙ্কগুলো গ্রাহকদের তথ্য দেয় না
এটিএম কার্ডের সঙ্গে পরিষেবাগুলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিনামূল্যের বীমা (ATM Card Insurance)। যদিই ব্যাঙ্ক কোনও গ্রাহককে এটিএম কার্ড ইস্যু করে, গ্রাহক দুর্ঘটনাজনিত বীমা বা জীবন বীমা পান। এই সম্পর্কে তথ্যের অভাবে, শুধুমাত্র কিছু মানুষ এই বীমা দাবি করতে সক্ষম হয়। এর একটি বড় কারণ হলো অনেকে এই স্কিম সম্পর্কে জানেন না। গ্রামের মানুষদের কথা ভুলে যান, এমনকি শহুরে মানুষরাও এটিএম-এর সঙ্গে যুক্ত শর্তাবলীর দিকে নজর দেন না। ব্যাঙ্কগুলি তাঁদের গ্রাহকদের এটিএম-এর মাধ্যমে যে বীমা পান সে সম্পর্কেও জানায় না।
কার্ড অনুযায়ী, আপনি এত টাকা পেতে পারেন
যদি একজন ব্যক্তি কমপক্ষে ৪৫ দিনের জন্য যেকোনো ব্যাঙ্কের এটিএম ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি এটিএম কার্ডের সঙ্গে আসা বীমা দাবি করার অধিকারী হন। ব্যাঙ্কগুলি গ্রাহকদের বিভিন্ন ধরনের এটিএম কার্ড ইস্যু করে। এটিএম কার্ডের ক্যাটাগরি অনুযায়ী কত পরিমাণ বিমা আসবে তা নির্ধারণ করা হয়। গ্রাহকরা ক্লাসিক কার্ডে ১ লক্ষ টাকা, প্ল্যাটিনাম কার্ডে ২ লক্ষ টাকা, নরমাল মাস্টার কার্ডে ৫০ হাজার টাকা, প্লাটিনাম মাস্টার কার্ডে ৫ লক্ষ টাকা এবং ভিসা কার্ডে ১.৫-২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ পাওয়া যায়৷ প্রধানমন্ত্রী জন-ধন যোজনার অধীনে গ্রাহকরা ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিমা পান।
কীভাবে এটিএম বীমা দাবি করবেন
এটিএম কার্ডধারী যদি দুর্ঘটনার শিকার হন তবে তিনি ৫০ হাজার টাকার কভারেজ পান। অঙ্গহানির ক্ষেত্রে ১ লক্ষ টাকার একটি বীমা সুবিধা পাওয়া যায়। মৃত্যুর ক্ষেত্রে কার্ডের উপর নির্ভর করে কভারেজ ১ লক্ষ থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। এটিএম কার্ডের সাথে উপলব্ধ বীমা দাবি করতে, কার্ডধারীর নমিনিকে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কে আবেদন করতে হবে। ব্যাঙ্কে এফআইআর-এর কপি, হাসপাতালে চিকিৎসার শংসাপত্র ইত্যাদির মতো নথি জমা দেওয়ার পরে বীমা দাবি পাওয়া যায়। মৃত্যুর ক্ষেত্রে, কার্ডধারীর নমিনিকে ডেথ সার্টিফিকেট, এফআইআর কপি, নির্ভরশীলের সার্টিফিকেট, মৃতের সার্টিফিকেটের আসল কপি ইত্যাদি জমা দিতে হবে।