গত কয়েক বছরে দেশে Financial Inclusion অনেকাংশে বেড়েছে। শুধুমাত্র জন ধন যোজনার (Jan Dhan Yojana) অধীনে ৪৪.৫৮ কোটি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এতে দেশে ব্যাঙ্কিং-এর ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। শহর থেকে গ্রামীণ এলাকায়, মানুষ এখন তাদের সঞ্চয় নগদে রাখার পরিবর্তে অ্যাকাউন্টে রাখতে পছন্দ করছেন। যাইহোক, এখনও খুব কম লোকই এই সত্যটি সম্পর্কে জানেন যে যদি কোনও অ্যাকাউন্টধারীর দুর্ভাগ্যজনক মৃত্যু ঘটে, তবে তার অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া অর্থ কে পাবে।
নিয়ম কী বলে জেনে নিন
একজন অ্যাকাউন্টধারীর মৃত্যু হলে তার অ্যাকাউন্টে জমা করা টাকা কে পাবে সে বিষয়ে নিয়ম খুবই পরিষ্কার। আপনি যখন একটি ব্যাঙ্কে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন, তখন আপনি আপনার মনোনীত নমিনির বিবরণ দেন এবং ব্যাঙ্ক তার ফাইলগুলিতে মনোনীত নমিনির বিবরণ রেকর্ড করে। এমতাবস্থায়, আমানতকারীর মৃত্যুতে, তার অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া টাকা স্বাভাবিকভাবেই নমিনি পেয়ে যান।
এই ক্ষেত্রে, উত্তরাধিকারী টাকা পায়
নমিনির অনুপস্থিতিতে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থ আমানতকারীর আইনি উত্তরাধিকারী বা উত্তরাধিকারীর কাছে যায়। এই ক্ষেত্রে, যে ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে জমাকৃত পরিমাণ দাবি করেন তাকে অ্যাকাউন্টধারীর উইল ব্যাঙ্ককে দিতে হবে। উইল না থাকলে পরিবারের সদস্যদের উত্তরাধিকার প্রমাণপত্র (Succession Certificate) দিতে হয়। এটি একটি বিশেষ দলিল, যার সাহায্যে মৃত ব্যক্তির উত্তরাধিকারী সনাক্ত করা হয়। এটি একটি অত্যন্ত জটিল এবং দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে টাকা দাবি করতে অনেক সময় লাগে।
আপনার জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকলে আপনি এভাবেই টাকা পাবেন
এই নিয়মটিও বেশ সহজ। এর অধীনে, যৌথ অ্যাকাউন্টধারীদের একজনের মৃত্যু হলে, অন্যজন অ্যাকাউন্টের সম্পূর্ণ মালিকানা পায় এবং অ্যাকাউন্টে জমা করা অর্থ উত্তোলন করতে পারে।
এটা করাই বুদ্ধিমানের কাজ
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী , কোনো ব্যক্তি যদি কোনো ধরনের বিনিয়োগ করেন, তাহলে তার উচিত তার পরিবারের সদস্যদের এ বিষয়ে জানানো। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বীমা এবং পিএফ অ্যাকাউন্টের বিবরণ নমিনির কাছে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিত। এছাড়াও, আপনার সমস্ত নথি ও ডকুমেন্ট এমনভাবে রাখতে হবে যাতে পরিবারের সদস্যরা খুঁজে পেতে কোনও সমস্যায় না পড়ে।
এ ক্ষেত্রে পরিবার ওই টাকা পায় না
যদি আমানতকারী তার উইলে একাউন্টে জমাকৃত অর্থ পরিবার ছাড়া অন্য কোনো বন্ধু বা আত্মীয় বা ট্রাস্টকে দেওয়ার কথা বলে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে পরিবার টাকা পায় না।