আপনি যদি গরমের এই মরসুমে কোনও ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করেন, তাহলে একটি আইস কিউব ফ্যাক্টরি তৈরি করতে পারেন। গ্রীষ্মের মৌসুমে বরফের টুকরার ব্যাপক চাহিদা থাকে। গ্রীষ্মকালে গ্রামে বা শহরে দোকান থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত বরফের টুকরো প্রচুর ব্যবহার করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে আইস কিউব তৈরির কারখানা স্থাপন করে ভালো আয় করা যায়।
শুধু শহরেই কারখানা স্থাপন করা জরুরি নয়। আপনি আপনার গ্রামেও এটি ইনস্টল করতে পারেন। কারণ আজকাল গ্রামেও আইসকিউবের চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে আইস কিউব ব্যবসায় বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। জমজমাট ব্যবসা চলছে। আজকের দিনে প্রতিটি রাস্তায় নির্বিচারে চলছে এই ব্যবসা।
আইস কিউব ফ্যাক্টরির ব্যবসা শুরু করতে, আপনাকে আপনার নিকটস্থ প্রশাসনিক অফিসে নিবন্ধিত হতে হবে। তারপর এই আইস কিউব কারখানা চালু করতে একটি ফ্রিজার প্রয়োজন হবে। বরফ জমা করার জন্য ফ্রিজার প্রয়োজন। আপনি বিভিন্ন ডিজাইনে বরফও তৈরি করতে পারেন, এটি গ্রাহকদের আকর্ষণ করতে সহায়তা করতে পারে।
এই ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনাকে এক লাখ টাকা খরচ করতে হবে। আপনাকে একটি ডিপ ফ্রিজার কিনতে হবে, যার দাম 50,000 টাকা থেকে শুরু হয়৷ এছাড়াও, আপনাকে আরও কিছু সরঞ্জাম কিনতে হবে। তারপরে আপনার ব্যবসার বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রয়োজন অনুসারে সরঞ্জাম ক্রয় করতে থাকুন। যাইহোক, আইস কিউব তৈরির ব্যবসায় নামার আগে এটি সম্পর্কে কিছু গবেষণা করুন।
এছাড়াও আপনার বাজার সম্পর্কে জেনে নিন, যেখানে আপনি সহজেই আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। আয় কত হবে? শুরুতে এক লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে আপনি এই ব্যবসা থেকে প্রতি মাসে 30,000 টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন। একই সময়ে, বিয়ের মরসুমে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে, আপনি মাসে 50,000 টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন।
সাধারণত বরফ বিক্রি করতে কোথাও যেতে হয় না। যে এলাকায় আপনার কারখানা হবে, আশেপাশের ক্রেতারা নিজেরাই আসবে। আপনি আপনার বরফ আইসক্রিমের দোকান, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফলের দোকান এবং সবজি বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। আপনার নিজের আইস ফ্যাক্টরি সম্পর্কে লোকেদের বলতে হবে। পোস্টার প্রিন্ট করা এবং বিতরণ বা পেস্ট করে আপনি সহজেই এই কাজটি করতে পারেন। যাতে ক্রেতা আপনার কাছে সহজে পৌঁছাতে পারে। তাহলে আপনার ব্যবসা চলবে।
আরও পড়ুন-গরু কেনার ৯০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার! আবেদন করুন এভাবে