ক্যানসার তাড়াতাড়ি ধরা পড়লে চিকিৎসা করলেই সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় আগের মতো আর ক্যানসার হলেই মৃত্যুর ভয় থাকে না। বরং চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হতে পারেন। তবে সেই খরচ অনেকটাই। ডায়াগনিস্টিক টেস্ট থেকে শুরু হয় খরচ। এরপর রেডিয়েশন থেরাপি-সহ ওষুধপত্রে প্রচুর টাকা চলে যায়। অস্বীকার করা যায় না ক্যানসার রোগীকে সুস্থ করতে প্রচুর টাকা লাগে। তাতে পরিবারে আর্থিক সঙ্কট তৈরি হতে পারে। এজন্য ক্যানসারের চিকিৎসায় অনেকেই আলাদা করে স্বাস্থ্য বিমা নিয়ে রাখেন। কিন্তু বিমা করালেই তো হল না! কী কী দেখবেন সেটাও জানতে হবে।
১. Standalone Cancer Insurance v/s Regular Health Insurance: ভারতের বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিমাই ক্যানসারের চিকিৎসায় হাসপাতালের খরচ বহন করে। এটা বেস পলিসি বা অ্যাড-অন-রাইডার্সের অংশ হতে পারে। তবে হাসপাতালের বাইরের সমস্ত খরচ মিলতে না-ও পারে। যেটা ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য অনেকটাই বেশি। সেজন্য ক্যানসার সংক্রান্ত স্বাস্থ্য বিমাই করানো দরকার। এতে চিকিৎসার খরচ জোগানোয় সুবিধা হবে।
২. Lumpsum Payment v/s Reimbursement: এতে একসঙ্গে টাকা পাওয়া যায়। ডায়াগনসিসের সঙ্গে সঙ্গে টাকা পেয়ে যান। অথবা যত টাকা খরচ হয় সেই টাকা দেয় বিমা সংস্থা।
3. Types of Cancers Covered: সব ধরনের ক্যানসারের জন্য রয়েছে স্বাস্থ্য বিমা। ফলে দেখে নিতে হবে কোন ধরনের ক্যানসার তালিকায় রয়েছে বা নেই।
4. Stages of Cancer Covered: বিভিন্ন ধাপের প্ল্যান আলাদা হয়। প্রতিটি ধাপে নির্দিষ্ট করে টাকা মেলে। স্বাস্থ্য বিমা করানোর আগে কোন ধাপে কত টাকা পাওয়া যাবে সেটা দেখা জরুরি।
5. Limitation of Coverage / Benefit: আর একটি বিষয় হল প্ল্যানে ক্যানসার চিকিৎসায় খরচের ভাগ। অনেক ক্ষেত্রে বিমায় খরচ ভাগাভাগির শর্ত থাকে। অর্থাৎ অর্ধেক খরচ দেবে বিমা সংস্থা। সর্বোচ্চ কত টাকা পাবেন তার সীমা থাকে।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের উপহার মোদী সরকারের, বাড়ল DA