
বাবা-মায়ের বয়স বাড়াটা সন্তান হিসাবে চোখে দেখা খুবই কঠিন। যেই হাতগুলি হাঁটতে শেখাল। বড় করে তুলল। তাঁরাই অশক্ত হয়ে ওঠে। তাঁদের শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ।
তবে জীবন আমার-আপনার খারাপ ভালোলাগাকে পাত্তা দেয় না। বরং কালের নিয়মেই এগিয়ে যেতে থাকে সময়। বাবা-মায়ের শরীর খারাপও হয়। তাঁদের জন্য ডাক্তার, হাসপাতাল ও ওষুধের খরচ শুরু হয়। তখন জলের মতো বেরিয়ে যেতে থাকে টাকা। তখন ব্যাঙ্কে টাকা না থাকলে বড় সমস্যা হয়ে যেতে পারে। নিতে হতে পারে ধার।
তাই এই পরিস্থিতির জন্য আগে থেকে তৈরি হন। চাকরি পাওয়ার পর থেকেই নিজেকে এই সময়ের জন্য তৈরি রাখুন। তাহলেই পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন বলে মনে করেন দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং Manasi Research Foundation-এর চেয়ারম্যান মানসকুমার ঠাকুর।
এখন প্রশ্ন হল, ঠিক কীভাবে প্ল্যান করা উচিত? আর সেই উত্তরটাও দিলেন মানসবাবু।
ইনস্যুরেন্স মাস্ট
সবার প্রথমে একটা মেডিক্লেম করতে হবে। সেই ইনস্যুরেন্সে নিজের পাশাপাশি বাবা-মাকে ইনক্লুড করুন। এই ইনস্যুরেন্সের টাকাটা বছর বছর দিয়ে যান। ব্যাস, তাহলেই কাজ হবে। বিপদের সময় আপনাকে আর হাসপাতালের বিল মেটাতে হবে না। আপনার হয়ে বিল মিটিয়ে দেবে ইনস্যুরেন্স সংস্থা। আপনার একটা বড় টাকা বেঁচে যাবে।
তবে ইনস্যুরেন্স না হয় হাসপাতালের খরচ মিটিয়ে দিল, কিন্তু ওষুধের খরচ তো তারা দেবে না। এমনকী অন্যান্য যাবতীয় খরচও মিলবে না। তাই এই পরিস্থিতির জন্য আপনাকে তৈরি থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে কিছুটা টাকা মাইনে পাওয়ার পর থেকে এই সময়টার জন্য তুলে রাখুন। তাহলেই খেলা ঘুরে যাবে বলে মনে করেন মানসবাবু।
কতটা টাকা জমানো দরকার?
এই হিসেবটা মানুষ থেকে মানুষে আলাদা হবে বলে মনে করেন মানসবাবু। তিনি বলেন, 'যখন বয়স কম, তখন আয়ের আয়ের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ জমান। তার মধ্যে আবার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মা-বাবার জন্য রাখুন। তবে বয়স বাড়লে এই হারটা কমিয়ে দিন। তখন অন্য দায়িত্ব আসবে। সেক্ষেত্রে ৫ শতাংশ জমাতেই পারেন। তাতে কাজ হবে।'
কোথায় রাখবেন?
এই টাকা সাধারণত সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন হয় না। তাই বাবা-মা এখনও সুস্থ থাকলে মিউচুয়াল ফান্ডে টাকাটা রাখতে পারেন। তাতেই ভাল রিটার্ন পাবেন। যদিও এত রিস্ক না নিতে চাইলে আপনি এফডি করতে পারেন। তাতেও লাভ পাবেন।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।