করোনা মহামারীর পরে থেকেই বন্ধ থাকা টিকিটে সিনিয়র সিটিজেনদের যে ছাড় মিলত, তা আরও একবার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আসলে বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের যে অন্য সমস্ত ছাড়গুলি ছিল সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ায় সরকারকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। যার পরেই এখন আরও একবার ফের ছাড়গুলি চালু করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এসিতে মিলবে না ছাড়?
সূত্রের তরফে নিউজ এজেন্সি পিটিআইকে জানানো হয়েছে, রেলওয়ে সিনিয়র সিটিজেনদের যে সমস্ত সুবিধাগুলি চালু ছিল এগুলি নিয়ে ফের পুনর্বিবেচনা শুরু হয়েছে। কিন্তু কেবল জেনারেল এবং স্লিপার ক্লাস এর জন্যই এটি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
৭০ বছরের নীচে প্রবীণদের ছাড় নয়!
অন্যদিকে ভাড়ায় ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সের মানদন্ড বাড়িয়ে ৭০ বছর করা হতে পারে। যেখানে কেবল আগে মহিলাদের জন্য ৫৮ এবং পুরুষদের জন্য ৬০ বছর ছিল। একটি সূত্রের খবর যে আমরা মনে করি যে এই ছাড় গুলি বয়স্কদের সাহায্য করে এবং আমরা কখনওই বলিনি যে আমরা পুরোপুরি এই ছাড় বন্ধ করে দেব। আমরা একটা সমীক্ষা চালাচ্ছি। সমীক্ষা শেষ হলেই তারপর পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
একটি সূত্র নিউজ এজেন্সিকে জানিয়েছে যে এখন বিতন্ডা এটাই যে, আমরা যদি এটাকে এবং জেনারেল বিভাগ পর্যন্ত সীমিত রাখি, তাহলে আমরা ৭০ শতাংশ যাত্রীদের ভাল পরিষেবা দিতে পারব। এটা কিছু বিকল্প রয়েছে, যা বলে আমরা বিচার করতে পারি। যদিও এখনও পর্যন্ত এই নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখানে এক অন্য বিকল্প নিয়েও রেল কিন্তু করছে। সমস্ত ট্রেনে প্রেমিয়াম তৎকাল যোজনা শুরু করে দেওয়া হয়েছে অনেক বেশি রাজস্ব রেলের কাছে আসছে। যা বিভিন্ন ছাড়ের ক্ষেত্রে বোঝা দূর করতে পারে।
২ দশক ধরেই রেলের ছাড় সব সময় চর্চার মধ্যে ছিল। এই ছাড় ফেরত নেওয়ার পরামর্শ অনেকেই রেলকে সুপারিশ করে। অনেকে আবার ছাড় বহাল রাখার পক্ষেই মত দিয়েছিল। জুলাই ২০১৬ তে রেলের জ্যেষ্ঠদের জন্য ছাড়ের বিকল্প তৈরি করেছিল। বিভিন্ন প্রকারের যাত্রীদের দেওয়া পঞ্চাশের বেশি প্রকারের ছাড় এর কারণে রেলের উপর প্রতি বছর প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার উপরে বোঝা চাপছিল। গত সপ্তাহে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সংসদে একটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে জানিয়েছিলেন যে ছাড় দেওয়ার ফলে রেলের উপরে বাড়তি বোঝা চাপছে।