অনেকেই ভাবেন বেতন কম হলে আয়কর দাখিলের দরকার নেই। বার্ষিক ২.৫ লক্ষের কম আয় থাকলে আয়কর রিটার্ন করেন না। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্ধারিত সীমার কম আয় থাকলেও আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত। বলে রাখি,আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ তারিখ ৩১ জুলাই।
কাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে?
পুরানো আয়কর ব্যবস্থার অধীনে ৬০ বছরের কম বয়সী করদাতাদের জন্য কর ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা। এই সীমা প্রবীণ নাগরিক বা ৬০ থেকে ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তিদের জন্য ৩ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে। যাঁদের বয়স ৮০ বছর বা তার বেশি তাঁদের জন্য ছাড়ের সীমা ৫ লক্ষ টাকা। নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুসারে, করদাতাদের বয়স নির্বিশেষে মৌলিক কর ছাড়ের সীমা ২.৫ লক্ষ টাকা। তবে সকলকে আয়কর দাখিলের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন সকলের আইটিআর ফাইল করা উচিত?
Tax2Win-র সিইও অভিষেক সোনি জানান,'আয়কর সীমার মধ্যে আয় না থাকলেও রিটার্ন দাখিল করা দরকার। এর বিবিধ সুবিধা রয়েছে।' কী কী সুবিধা? সোনির কথায়,'আয়কর রিটার্ন দাখিল আইনি সুবিধা দেয়। এতে নিজের পরিচয় ও আয়ের প্রমাণ দেন কোনও ব্যক্তি। যার ফলে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হয়। টিডিএস দাবি করতে পারেন। আয়কর রিটার্নের নথিও কাজে দেয়।'
-যে উপার্জনকারীদের আয় বছরে আড়াই লক্ষের নিচে তাঁদেরও আয়কর রিটার্ন দাখিল করা দরকার। আয়কর নোটিশ এড়াতেই ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাসপোর্ট রিনিউয়াল-সহ একাধিক সরকারি কাজে আয়কর রিটার্ন ফাইল করা থাকলে সুবিধা পাওয়া যায়।
- আয়কর রিটার্ন দাখিল করা থাকলে হোম লোন পেতে সুবিধা হয়। সহজেই কোনও ব্যক্তি হোম লোন পেতে পারেন। যাঁরা অফিস থেকে ফর্ম ১৬ পান না তাঁদের ক্ষেত্রে এটা আরও কার্যকরী হতে পারে।
আয়কর রিটার্ন দাখিলের ৪ শর্ত
১। যদি কোনও ব্যক্তির মোট বিক্রয়, টার্নওভার বা আগের বছরে মোট আয় ৬০ লক্ষের বেশি হয়, তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
২। আগের বছরে পেশায় মোট আয় ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত।
৩। যদি TDS বা TCS ২৫,০০০ টাকা বা তার বেশি হয়, তাহলে আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত। প্রবীণ নাগরিকদের জন্য এই নিয়মটি প্রযোজ্য হবে যদি একটি আর্থিক বছরে ব্যক্তির TDS বা TCS ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি।
৪। কোনও ব্যক্তি আগের বছরে এক বা একাধিক সেভিংস অ্যাকাউন্টে মোট ৫০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি জমা করে থাকেন তবে তাহলে তাঁকে আইটিআর ফাইল করতে হবে।
আরও পড়ুন- রান্নার গ্য়াসে ভর্তুকি ছেঁটে সরকারের লাভ ১১,৬৫৪ কোটি!