রাজ্যের কৃষকদের জন্য সুখবর। খারিফ মরসুমের (kharif season) জন্য কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Scheme) টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে খুব শীঘ্রই ঢুকতে চলেছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক স্তরে এনিয়ে কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। কৃষক বন্ধু ওয়েবসাইটেও কিছু আপডেট দেখা গিয়েছে। এর আগে চলতি বছরে রবি মরসুমের টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার খারিফ মরসুমের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা (Krishak Bandhu Payment) আগামী মে মাসেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারে। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
কৃষক বন্ধু প্রকল্পের (Krishak Bandhu Prakalpa) অধীনে রাজ্য সরকার বছরে দুবার আর্থিক সাহায্য দেয়। এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে খারিফ মরসুমের টাকা পাওয়া যায়। আর রবি মরসুমের টাকা মেলে অক্টোবর থেকে মার্চের মধ্যে। এখন এপ্রিল মাস পড়ে গিয়েছে। তাই খারিফ মরসুমের টাকা দেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। কৃষক বন্ধু প্রকল্পের টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। ২০২২ সালে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের অধীনে খারিফ মরসুমের টাকা দেওয়া শুরু হয়েছিল জুন মাসে। তবে এবার সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তাই এবার কৃষক বন্ধুর টাকা জুন মাসের আগেই ঢুকে যেতে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।
আরও পড়ুন: Ration Card Benefits In West Bengal: রেশনে মিলবে চিনি-ছোলা-ময়দা, এপ্রিলে কোন কার্ডে কত চাল-গম?
এই প্রকল্পের অধীনে কৃষকরা রবি ও খরিফ ফসল চাষের জন্য দুটি কিস্তিতে ৪ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত পরিমাণ পান। যাঁদের এক একরের কম জমি রয়েছে তাঁরা ৪ হাজার টাকা ভাতা পান। আর যাঁদের এক একরের বেশি জমি রয়েছে তাঁরা পাবেন ১০ হাজার টাকা। এই প্রকল্পে এখনও পর্যন্ত মোট ৯১ লাখ ৫৭ হাজার কৃষককে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে খবর কৃষি দফতর সূত্রে। এছাড়াও প্রকল্পের 'কৃষকবন্ধু ডেথ বেনিফিট'-র অধীনে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে একজন কৃষকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার তাঁর পরিবারকে এককালীন ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেয়।