
মুদ্রাস্ফীতির এই যুগে, মানুষের বেতন আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রায় শেষ হয়ে যায়। পরিবারের খরচ, বাচ্চাদের পড়াশোনা এবং ইএমআই বিলের হিসাব মেলানোর সময়, আপনি কি ভাবছেন যে বেতন পাওয়ার পর প্রতি মাসে সমস্ত টাকা কোথায় গেল? ভবিষ্যতের জন্য টাকা জমাতে কি সমস্যা হচ্ছে? যদি তাই হয়, তাহলে চিন্তা করবেন না, কারণ সঠিক আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে খরচ কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে পারবেন। এটি করার জন্য, টাকা জমাতে হবে এবং সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে হবে।
কিছু টিপস (Money Saving Tips) বলবো যার সাহায্যে সহজেই টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন এবং আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে পারবেন।
১. প্রতি মাসে আপনার কমপক্ষে ৩০% অর্থ সাশ্রয় করুন
প্রতি মাসে আপনার বেতনের কমপক্ষে ৩০% সঞ্চয় করার কথা ভাবুন। ধরুন আপনার মাসিক বেতন ৭০,০০০ টাকা, তাহলে কমপক্ষে ২১,০০০ টাকা সাশ্রয় করতে পারবেন, যা প্রয়োজনের সময় কাজে লাগবে।
২. সেভিংস অ্যাকাউন্টে খুব বেশি টাকা রাখবেন না: সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে অর্জিত সুদ খুবই কম, তাই আপনার সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে খুব বেশি টাকা রাখা এড়িয়ে চলুন। যদি আপনার মাসিক বাজেট ₹৫০,০০০ হয়, তাহলে আপনি আপনার সঞ্চয় অ্যাকাউন্টে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারবেন। বাকি সঞ্চয় আপনি সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করতে পারেন।
৩. সোনায় বিনিয়োগ করুন: যদি সঞ্চয় বিনিয়োগ করার কথা ভাবছেন, তাহলে আপনার পোর্টফোলিওর ১০% সোনায় রাখুন অর্থাৎ সোনায় বিনিয়োগ করুন। আপনি গোল্ড ইটিএফ অথবা গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করতে পারেন। সোনায় বিনিয়োগ করা বেশ লাভজনক।
৪. শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করুন: আপনার সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য, আপনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে, এর সাথে ঝুঁকি জড়িত। তবে, বিনিয়োগের জন্য সঠিক শেয়ারগুলি বেছে নেওয়ার জন্য আপনি একজন আর্থিক উপদেষ্টার পরামর্শ নিতে পারেন। তবে আপনার বয়সের উপর ভিত্তি করে এই বিনিয়োগগুলি করা ভাল। বয়স যদি ৩০ বছর হয়, তাহলে সঞ্চয়ের ৭০% পর্যন্ত শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে পারেন।
৫. স্থির আয়ে বিনিয়োগ করুন: সঞ্চয়ের একটি অংশ নিশ্চিত রিটার্ন সহ স্কিম যেমন পিপিএফ, পোস্ট অফিস স্কিম, এফডি ইত্যাদিতে বিনিয়োগ করুন। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার বয়স ৫০ বছর হয়, তাহলে আপনার এই স্কিমগুলিতে ৪০% বিনিয়োগ করা উচিত।
৬. জীবন বিমা নিতে ভুলবেন না: জীবন বিমা কভার আপনার বার্ষিক আয়ের কমপক্ষে ৭ গুণ হওয়া উচিত। জীবন বিমা এবং চিকিৎসা বিমার জন্য নিয়মিত বিরতিতে নির্দিষ্ট প্রিমিয়াম প্রদান আমাদের স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থার সময় সাহায্য করে। এর ফলে কম খরচে সবচেয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসাও করানো যেতে পারে।