চাকরি করতে করতেই অবসরজীবনের পরিকল্পনা করেন বহু মানুষ। সকলেই বার্ধক্য আরামে কাটাতে চান। বিশেষ করে পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করেন সকলেই। আর্থিকভাবে শক্তিশালী হতে চান। সেই সঙ্গে স্ত্রীর ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হয়। সেক্ষেত্রে জাতীয় পেনশন স্কিমে (National Pension Scheme) বিনিয়োগ করতে পারেন।
আগে শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীরাই কেবল জাতীয় পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারতেন। কিন্তু এখন সবাই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন। তবে কয়েকটি মৌলিক শর্ত বেঁধে দিয়েছে সরকার। দেশের যে কোনও নাগরিক এই পেনশন প্রকল্পে বিনিয়োগ করে উপকৃত হতে পারেন। এই স্কিম কর বাঁচাতে সাহায্য করে। পেনশন স্কিমে এখনও পর্যন্ত বিনিয়োগের উপর ১০ শতাংশের বেশি রিটার্ন দিয়েছে। এ কারণে বিনিয়োগের সেরা বিকল্প হয়ে উঠেছে এই পেনশন প্রকল্প।
প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন
স্ত্রীর ভবিষ্যৎ আর্থিকভাবে সুরক্ষিত করতে চাইলে জাতীয় পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে বিনিয়োগ করে ৬০ বছর বয়সের পরে স্ত্রীর জন্য প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশনের ব্যবস্থা করতে পারেন। এর জন্য তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ শুরু করতে হবে। এই স্কিমে বিনিয়োগ করতে চাইলে স্ত্রীর বয়স ৩৫ বছর হওয়া দরকার। মোট ২৫ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। তার পর প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা পেনশন পাবেন।
ন্যাশনাল পেনশন স্কিম ট্রাস্ট ক্যালকুলেটর অনুসারে, প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পেনশন পেতে মাসে মাসে ১৫,০০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এভাবে আপনি ২৫ বছরে মোট ৪৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করবেন। গড় রিটার্ন প্রায় ১০ শতাংশ ধরলে নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে টাকার পরিমাণ হবে ১.৫-২ কোটি টাকা।
ম্যাচুরিটির পর যদি ৫০ শতাংশ টাকা তুলে নিলে বার্ষিক হার ৬ শতাংশ অনুযায়ী মাসিক পেনশন ৫০,১৭১ টাকায় হয়। এনপিএসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ টাকা পাওয়া যায়। এই টাকাই মেয়াদ শেষের পর পেনশনের অংশ। বাকি টাকা এককালীন দেওয়া হয়।