
New Labour Code: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে নয়া শ্রমবিধি। নতুন এই আইনের আওতায় ২৯টি পুরনো শ্রম আইনকে একত্রিত করে আনা হয়েছে চারটি নতুন লেবার কোড। যার জেরে একাধিক নিয়মে এসেছে বদল। কেন্দ্রের দাবি, নয়া নিয়মের ফলে কর্মীদের অধিকার আগের থেকে আরও বেশি সুরক্ষিত হবে। তবে বেশ কিছু কর্মচারীদের আশঙ্কা, নয়া শ্রম আইনে কর্মী-শ্রমিকদের থেকে ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু আদতে বিষয়টি কী? তা জেনে নেওয়া যাক
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নয়া শ্রম আইনে কোনও ভাবেই শ্রমিকদের হরতাল বা ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়নি। বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কেন্দ্রের দাবি, ধর্মঘটের অধিকার সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত রয়েছে এবং কর্মীরা চাইলে ধর্মঘট করতে পারবেন। তবে, অতীতের নিয়মে বর্তমানে পরিবর্তন এসেছে। নয়া নিয়ম অনুযায়ী কর্মচারীদের ধর্মঘটের আগে নোটিশ দিতে হবে, একমাত্র তবেই ধর্মঘটের অনুমতি দেওয়া হবে।
ধর্মঘটের নয়া আইন
নতুন নিয়ম অনুসারে হরতাল বা ধর্মঘটের জন্য আগে থেকে নোটিশ দেওয়া বাধ্যতামূলক। এক্ষেত্রে কর্মচারীদের ১৪ দিন আগে নোটিশ দিতে হবে। পাশাপাশি, যদি ৫০ শতাংশের বেশি কর্মচারী কোনও নির্দিষ্ট দিনে একইসঙ্গে ছুটি নেন, সেক্ষেত্রেও তা ধর্মঘট হিসেবেই ধরে নেওয়া হবে।
কেন ১৪ দিনের নয়া নিয়ম?
কেন্দ্রের দাবি, এই ১৪ দিনের নোটিশের নিয়মের ফলে ধর্মঘট বা লকআউটের মতো ঘটনা কমবে। ফলস্বরূপ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা হ্রাস পাবে। পাশাপাশি, মালিকপক্ষের সামনেও আলোচনার জন্য যথেষ্ট সুযোগ থাকবে। আলোচনায় মীমাংসা হলে আগে থেকেই বড় ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। সরকারের দাবি, এই নয়া নিয়মের জেরে শিল্পক্ষেত্রে হয়রানি অনেকাংশেই কমে যাবে।
শ্রমিক সংগঠনের কী বক্তব্য?
যদিও শ্রমিকদের দাবি, এই নয়া নিয়ম শুধুমাত্র মালিকপক্ষকেই সুবিধা দিচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, এমন অনেক পরিস্থিতি তৈরি হয় যখন ১৪ দিনের নোটিশ দেওয়া সম্ভব নাও হতে পারে। এক্ষেত্রে নিয়মভঙ্গ হলে প্রতিবাদকারী শ্রমিক সংগঠনগুলিকে বেআইনি তালিকাভুক্ত করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য বিষয় হল, ধর্মঘটের পুরনো নিয়মেও কিন্তু ১৪ দিনের নোটিশের রীতি ছিল। তবে তা কার্যকর হত শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খাতে কর্মরত শ্রমিকদের জন্যই। কিন্তু বর্তমানে তা সব শ্রমিকদের জন্যই লাগু করা হয়েছে।