ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) বৃহস্পতিবার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করল। এখন থেকে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকার ঋণ পেতে পারবেন, যেখানে আগে সীমা ছিল মাত্র ২০ লক্ষ। অর্থাৎ, ঋণের পরিমাণ এক ঝটকায় পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
রেপো রেট অপরিবর্তিত
আরবিআই রেপো রেটও অপরিবর্তিত রেখেছে—বর্তমানে এটি ৫.৫%। টানা দ্বিতীয়বার রেপো রেট না বদলানোর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইঙ্গিত দিয়েছে যে মুদ্রানীতি সহায়ক থাকলেও এবার জোর দেওয়া হচ্ছে ঋণ বিতরণ ও কাঠামোগত সংস্কারে।
বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন দিগন্ত
আরবিআইয়ের এই পদক্ষেপ খুচরা বিনিয়োগকারী, হাই নেট ওয়ার্থ ইনডিভিজুয়াল (HNI) এবং কর্পোরেটদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করবে। মূলধন বাজারে অংশগ্রহণ বাড়ানোর পাশাপাশি এটি উৎপাদনশীল ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রেও সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সংস্কারের বড় প্যাকেজ
ঋণসংক্রান্ত এই পরিবর্তনটি আরবিআইয়ের ২২ দফা সংস্কার প্যাকেজের অংশ। এর আওতায়:
আইপিও তহবিল সংগ্রহের সীমা ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ২৫ লক্ষ করা হয়েছে।
তালিকাভুক্ত ঋণ ইক্যুইটির বিপরীতে ঋণ দেওয়ার নিয়ন্ত্রক সীমা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অবকাঠামো প্রকল্পে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে এনবিএফসিগুলির ঝুঁকি কমানো হয়েছে।
২০১৬ সালের সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে, যেখানে ১০,০০০ কোটি টাকার বেশি ঋণগ্রহীতা সংস্থাগুলিকে ঋণ প্রদানে বাধা ছিল।
সময়োপযোগী পদক্ষেপ
আরবিআই গভর্নর সঞ্জয় মালহোত্রা জানান, এই সংস্কার ব্যাংকগুলির মূলধন ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বাড়াবে এবং বাজারে তারল্য বজায় রাখবে। বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের স্বাস্থ্যও শক্তিশালী—
CRAR (Capital to Risk-weighted Assets Ratio): ১৭.৫%
GNPA (Gross Non-Performing Assets): ২.২২%
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন এক সময়ে এই পদক্ষেপ অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যখন বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য উত্তেজনা ও পুঁজির অনিশ্চিত প্রবাহ নিয়ে ভারতীয় বাজারকে সতর্ক থাকতে হচ্ছে।