রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোতে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে কতদিন ছুটি থাকবে তার তালিকা প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেখানে বিস্তারিত জানানো হয়েছে, এবছর মোট কতদিন ছুটি পাবেন পড়ুয়ারা।
পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, এবার গ্রীষ্মকালীন ছুটি দেওয়া হবে ১০ দিন। ২৪ মে থেকে এই ছুটি শুরু হবে। আবার দুর্গাপুজোর জন্য ছুটি দেওয়া হবে ২৬ দিন। চতুর্থী থেকে ভাইফোঁটার পরের দিন পর্যন্ত। ১৮ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই ছুটি থাকবে। এছাড়াও ইংরেজি নতুন বছর, রবীন্দ্রজয়ন্তী, রথযাত্রা, রঘুনাথ মুর্মুর জন্মদিন, বকরি ইদ, মহরম, স্বাধীনতা দিবস, রাখি উৎসব, জন্মাষ্টমী, ফতেয়া-দোয়াজ-দাহাম, গান্ধি জয়ন্তী, মহালয়া, বিরসা মুন্ডার জন্মদিন, ছটপুজো, গুরু নানকের জন্মদিন, বড়দিন উপলক্ষ্যে একদিন করে ছুটি পাবে পড়ুয়ারা।
ছুটির তালিকা নিচে দেওয়া হল -
- ১ জানুয়ারি: ইংরেজি নববর্ষ (রবিবার)।
- ১২ জানুয়ারি: স্বামী বিবেকানন্দ জন্মজয়ন্তী (বৃহস্পতিবার)
- ২৩ জানুয়ারি: নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তী (সোমবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
- ২৫ জানুয়ারি: সরস্বতী পুজোর আগেরদিন (বুধবার)।
- ২৬ জানুয়ারি: প্রজাতন্ত্র দিবস এবং সরস্বতী পুজো (বৃহস্পতিবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
- ১৪ ফেব্রুয়ারি: পঞ্চানন বর্মার জন্মদিবস (মঙ্গলবার)।
- ১৮ ফেব্রুয়ারি: শিবরাত্রি (শনিবার)।
- ৭ মার্চ: দোলযাত্রা (মঙ্গলবার)।
- ৮ মার্চ: হোলি (দোলযাত্রার পরের দিন) এবং সবে-ই-বরাত (বুধবার)।
- ১৯ মার্চ: শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী (রবিবার)।
- ৪ এপ্রিল: মহাবীর জয়ন্তী (মঙ্গলবার)।
- ৭ এপ্রিল: গুড ফ্রাইডে (শুক্রবার)।
- ১৪ এপ্রিল: বি আর আম্বেদকরের জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)।
- ১৫ এপ্রিল: বাংলা নববর্ষ (শনিবার)।
- ২১ এপ্রিল: ইদ-উল-ফিতরের আগেরদিন (শুক্রবার)।
- ২২ এপ্রিল: ইদ-উল-ফিতর (শনিবার)।
- ১ মে: মে দিবস (সোমবার)।
- ৫ মে: বুদ্ধপূর্ণিমা এবং পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মুর জন্মজয়ন্তী (শুক্রবার)।
- ৯ মে: রবীন্দ্র জয়ন্তী (মঙ্গলবার)।
- ২৪ মে থেকে ৪ জুন: রবিবার ছুটি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না। মোট ১০ দিন ধার্য করা হয়েছে।
- ২০ জুন: রথযাত্রা (মঙ্গলবার)।
- ২৯ জুন: বকরি ইদ (বৃহস্পতিবার)।
- ২৯ জুলাই: মহরম (শনিবার)।
- ১৫ অগস্ট: স্বাধীনতা দিবস (মঙ্গলবার, স্কুলে পালন করতে হবে)।
- ৩০ অগস্ট: রাখি পূর্ণিমা (বুধবার)। ৬ সেপ্টেম্বর: জন্মাষ্টমী (বুধবার)।
- ২৯ সেপ্টেম্বর: ফতোয়া-দোয়াজ-দাহাম (বৃহস্পতিবার)।
- ২ অক্টোবর: গান্ধী জয়ন্তী (সোমবার)।
- ১৪ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর (দুর্গাপুজোর চতুর্থী থেকে ভাইফোঁটার পরদিন পর্যন্ত): পুজোর জন্য ২৬ দিন ছুটি থাকবে (রবিবার বাদে অর্থাৎরবিবারছুটিরমধ্যেযোগকরাহবেনা)।
- ১৫ নভেম্বর: বিরসা মুন্ডার জন্মদিবস (বুধবার) (পুজোর ছুটির মধ্যে অন্তর্গত)।
- ১৯ নভেম্বর: ছটপুজো (রবিবার)।
- ২০ নভেম্বর: ছটপুজোর জন্য বাড়তি ছুটি (সোমবার)।
- ২৭ নভেম্বর: গুরু নানকের জন্মজয়ন্তী (সোমবার)।
- ২৫ ডিসেম্বর: বড়দিন (সোমবার)।
আরও পড়ুন :
তবে পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, নমুনা হিসেবে এই তালিকা প্রকাশ হয়েছে। বছরে ৬৫ দিন ছুটি দেওয়া হবে। স্থান-কাল, উৎসবের বিভিন্নতা, ভৌগলিক অবস্থান দেখে ছুটির দিন পরিবর্তিত হতে পারে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি মোতাবেক সেই ছুটি মঞ্জুর করা হবে। তবে বছরে কোনওভাবেই ৬৫ দিনের বেশি ছুটি হবে না। আবার রাজ্য সরকারের ঘোষণা অনুযায়ীও ছুটির দিন পরিবর্তিত হতে পারে বলে জানিয়েছে পর্ষদ। এই লিঙ্কে ছুটির বিস্তারিত তালিকা দেখুন।