
দু'তিন বছর পর সকলেই চায় তাঁদের মোবাইলটা বদলে নিতে। কিন্তু সবসময় পকেট সঙ্গ দেয় না। আর সেই কারণেই পুরনো ফোনের চাহিদা বাড়ছে। বেশ কয়েকটি সংস্থা শুধুমাত্র পুরনো ফোনই বিক্রি করছে। ফলে অনলাইন বা অফলাইন সর্বত্রই সস্তায় মিলছে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন। কিন্তু সস্তার তিন অবস্থা হতে পারে। তাই পুরনো ফোন কেনার আগে কী কী বিষয়ে নজর দিতে হবে বুঝে নিন।
IMEI সম্পর্কে জানুন
ফোনের আইনি পরিচয় সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। দেশে প্রতিটি মোবাইল ফোনের একটি ইউনিক IMEI নম্বর থাকে। চুরির ক্ষেত্রে এই নম্বরটি অত্যন্ত সাহায্য করে। যদি কোনও ফোন চুরি করে বিক্রি করে দেওয়া হয়, তাহলে IMEI নম্বর ট্র্যাক করে পুলিশ নতুন ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে।
সরকার ও টেলিকম রেগুলেটর সংস্থার নির্দেশ অনুসারে, চুরি যাওয়া বা ব্ল্যাক লিস্টেড IMEI নম্বরের ফোন যে কোনও সময় নেটওয়ার্ক থেকে ব্লক করা যেতে পারে। তাই ফোন কেনার আগে CEIR পোর্টাল বা নিজের নেটওয়ার্ক অপারেটরের মাধ্যমে IMEI নম্বরটি যাচাই করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি IMEI-এর সঙ্গে কোনও অসঙ্গতি থাকে, তাহলে ওই ফোন কেনা উচিত নয়।
ফোনের কন্ডিশন দেখুন
এরপর আসে ফোনের কন্ডিশনের বিষয়ে। স্ক্রিনে ছোটখাটো স্ক্র্যাচ থাকা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু যদি ডিসপ্লেতে শ্যাডো,কোনও দাগ বা রঙের ব্লিডারের মতো সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে এটা বড় সমস্যা হতে পারে।
ফোনের বডিতে গর্ত, বাঁকানো ফ্রেম আসলে রাফ ব্যবহারের ইঙ্গিত হতে পারে। ক্যামেরার লেন্স, স্পিকার গ্রিল এবং চার্জিং পোর্টও সাবধানে পরীক্ষা করা উচিত। কারণ এসব জায়গায় জল এবং ধুলো সহজে ঢুকে নষ্ট হয়ে যায়।
ব্যাটারির অবস্থা
স্মার্টফোনে ব্যাটারি হেলথ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেকেন্ড হ্যান্ড ফোনের ব্যাটারি বেশিরভাগ সময়ই খারাপ থাকে। যদি ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়, অতিরিক্ত গরম হয়, অথবা খুব আস্তে আস্তে চার্জ হয়, তাহলে ব্যাটারি বদলাতে হতে পারে। এতে খরচ বাড়তে পারে।
তবে শুধু হার্ডওয়্যারই নয়, সফটওয়্যার এবং নিরাপত্তাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ফোনে কারও গুগল বা অ্যাপল অ্যাকাউন্ট ফোনে ইতিমধ্যেই লগ ইন করা আছে কিনা, তা দেখে নেওয়া উচিত।
ফ্যাক্টরি রিসেট করার পরেও যদি পুরনো অ্যাকাউন্ট দেখানো হয়, তবে এই ফোনটি সঠিকভাবে আনলিঙ্ক নাও হতে পারে। এরফলে ভবিষ্যতে এই ধরনের ফোন লক হয়ে যেতে পারে। ফোনটি বর্তমানে সিকিউরিটি আপডেট পাচ্ছে কিনা তাও দেখে নেওয়া জরুরি।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল ফোনের নেটওয়ার্ক এবং হার্ডওয়্যার চেক করা। কলিং, মাইক্রোফোন, স্পিকার, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস এবং ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলকের মতো ফিচারগুলোও কেনার সময় দেখে নেওয়া উচিত।