
গত এক বছরে বাম্পার রিটার্ন দিয়েছে সোনা। একধাক্কায় দাম আকাশে পৌঁছে গিয়েছে। তাই অনেকেই এখন সোনায় বিনিয়োগ করতে চাইছেন। তার মাধ্যমে কিছু মুনাফার মুখ দেখতে চাইছেন।
তবে মাথায় রাখবেন, এই সময় সোনায় বিনিয়োগ করতে গেলে কিছু বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। নইলে লাভের বদলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। তাই আর সময় নষ্ট না করে সেই সব বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
ফিজিক্যাল গোল্ড নয়
সোনায় বিনিয়োগ করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে কোনওভাবেই ফিজিক্যাল গোল্ড কিনবেন না। অর্থাৎ সোজা ভাষায় গয়না সোনা কিনবেন না। কারণ গয়না কেনার সময় মেকিং চার্জ, সার্ভিস চার্জ, জিএসটি থেকে শুরু করে একাধিক চার্জ দিতে হয়। তাই এভাবে সোনা কেনা মানে ঠকা। তার বদলে বরং গোল্ড ইটিএফ-এ বিনিয়োগ করুন। সেটা না চাইলে গোল্ড বন্ডেও বিনিয়োগ করা যায়। তাতেই খেলা ঘুরে যাবে। অনেকটা টাকা মুুনাফা করতে পারেন।
একবারে কিনবেন না
ধরুন আপনার হাতে অনেকটা টাকা রয়েছে। এ বার সেই টাকাটা একবারে ইনভেস্ট করে দেবেন না। বরং চেষ্টা করুন অল্প অল্প করে বিনিয়োগ করার। তাতে মার্কেট উপরে থাকুক আর নীচে, আপনি এভারেজ করে নিতে পারবেন। এতে মুনাফা বাড়বে।
ট্যাক্স মাথায় রাখুন
আপনি যদি ফিজিক্যাল গোল্ড কিনতে যান, তাহলে ৩ শতাংশ জিএসটি দিতে হবে। অপরদিকে ক্যাপিটাল গেইন হলে আলাদা করে ট্যাক্স দিতে হবে। এটা অবশ্যই মাথায় রাখা জরুরি।
মার্কেট দেখে কিনুন
সোনার দাম যদি খুব বেশির দিকে থাকে, তখন না কেনাই ভাল। কারণ, এই সময় অনেকেই নিজের কাছে উপস্থিত সোনা বেচে মুনাফা করতে চাইবেন। যার ফলে পড়ে যেতে পারে দাম। তাই এই বিষয়টা মাথায় রাখা খুবই জরুরি।
অ্যালোকেশন ঠিক রাখুন
নিজের সব টাকা গোল্ডে ইনভেস্ট করবেন না। বরং পোর্টফোলিওর মাত্র ১০ শতাংশ এক্ষেত্রে বিনিয়োগ করুন। বাদবাকি টাকা অন্যান্য জায়গায় রাখুন। তাতেই ঠিকঠাক সব ম্যানেজ করে ফেলতে পারবেন। খুব বড় লস হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।
বিদ্র: এই নিবন্ধটি পড়ে আবার স্টক কিনবেন না বা বিনিয়োগ করবেন না। এটি খবর দেওয়ার এবং শিক্ষার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। এছাড়া নিজেও করুন রিসার্চ। তারপরই স্টকে করুন ইনভেস্ট।