Types Of Ration Card In India: রেশন কার্ড ৪ রকমের, কোন কার্ডে কত রেশন? রইল বিস্তারিত

সরকার মানুষকে অনেক ধরনের রেশন কার্ড ইস্যু করে। এই রেশন কার্ডগুলির বিভিন্ন রঙ অনুসারে, বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সাধারণত, পরিবারের আয়ের ভিত্তিতে রেশন কার্ড জারি করা হয়। আসুন তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক... 
আধার কার্ড আসার আগে রেশন কার্ডের অনেক গুরুত্ব ছিল, যদিও এটি এখনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু সরকারি রেশন নয়, নাগরিকত্ব প্রমাণের গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত এই কার্ডটি গরীব এবং ধনী পরিবারের জন্যও প্রয়োজনীয়। রেশন কার্ড রাজ্য সরকার জারি করে। সেই কারণেই আপনি বিভিন্ন রাজ্যের রেশন কার্ডের পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন। এছাড়াও, এই কার্ডগুলিতে উপলব্ধ সরকারী সুবিধাগুলি রাজ্য অনুসারে পরিবর্তিত হতে পারে।

ভারত সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ৪ ধরনের রেশন কার্ড রয়েছে, যেগুলি বিভিন্ন রঙ দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে নীল, গোলাপি, সাদা এবং হলুদ রেশন কার্ড। তারা বিভিন্ন আয় গোষ্ঠীর লোকদের জারি করা হয়।

নীল-সবুজ-হলুদ রেশন কার্ড দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে ইস্যু করা হয়, রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর নির্ভর করে রেশন কার্ডের রঙ নীল, সবুজ বা হলুদ হয়। এই কার্ডে সর্বাধিক সুবিধা অনুমোদিত এবং এটি সেই সমস্ত পরিবারের জন্য জারি করা হয় যাদের এলপিজি সংযোগও নেই৷ গ্রামীণ এলাকায় ৬৪০০ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয় সহ একটি পরিবারকে এই রেশন কার্ড জারি করা হয়। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে, একটি পরিবারের সর্বোচ্চ বার্ষিক আয় ১১,৮৫০ টাকা এই রেশন কার্ডটি তৈরি করা যেতে পারে। 

গোলাপী রেশন কার্ড সেই সমস্ত পরিবারকে দেওয়া হয় যাদের মোট বার্ষিক আয় দারিদ্র্যসীমার উপরে। গ্রামীণ এলাকায় বার্ষিক ৬,৪০০ টাকার বেশি আয় করে এমন পরিবারগুলিকে এই কার্ড দেওয়া হয়৷ অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে ১১,৮৫০ টাকার বেশি বার্ষিক আয়ের পরিবারগুলি এই গোলাপী রঙের রেশন কার্ড তৈরি করতে পারে। এই কার্ডে পরিবারের প্রধানের ছবিও লাগানো আছে। অন্ত্যোদয় অন্ন যোজনা রেশন কার্ড এটি একটি বিশেষ ধরনের রেশন কার্ড। সরকার অত্যন্ত দরিদ্র শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত পরিবারগুলিকে এই কার্ড দেয়। অর্থাৎ যাদের কোনও ধরনের নিয়মিত আয় নেই এমন পরিবারকে সাহায্য করার জন্য সরকার এই কার্ড ইস্যু করে। শ্রমিক, বয়স্ক এবং বেকাররা এই ক্যাটাগরিতে আসে। সাদা রেশন কার্ড এই কার্ডটি সেই সমস্ত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে যারা আর্থিকভাবে শক্তিশালী এবং যাদের ভর্তুকিযুক্ত খাদ্যশস্যের প্রয়োজন নেই। এই রেশন কার্ড বেশিরভাগই পরিচয় এবং ঠিকানা প্রমাণ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। ভারতের যে কোনো নাগরিক এই রেশন কার্ড নিতে পারেন। এটি প্রধানত রেশন পেতে নয়, আপনার পরিচয় প্রমাণ করতে ব্যবহৃত হয়।

খাদ্যশস্যের পরিমাণ ও মূল্য বিভিন্ন দেশের রাজ্যে দরিদ্রের সংখ্যা অনেক বেশি এবং তাদের জীবনযাত্রার জন্য অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সরকার এই দরিদ্র পরিবারগুলিকে রেশন সহায়তা প্রদান করে। এর জন্য সারা দেশে সরকারি রেশন দোকানগুলি পরিচালিত হয়। বিভিন্ন রেশন কার্ডের অধীনে এই দোকানগুলিতে বিভিন্ন পরিমাণে রেশন দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অধীনে, দারিদ্র্য সীমার নিচের পরিবারগুলিকে (বিপিএল) রেশন কার্ডের মাধ্যমে খুব কম মূল্যে প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ কেজি রেশন দেওয়া হয়। যাইহোক, রেশনের পরিমাণ এবং দাম রাজ্য ভেদে ভিন্ন হতে পারে। দারিদ্র্যসীমার উপরে বসবাসকারীদের জন্য ইস্যু করা এপিএল রেশন কার্ডে প্রতি পরিবার প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ কেজি রেশন দেওয়া হয়। রেশনের দাম রাজ্য সরকারগুলি দ্বারা নির্ধারিত হয় এবং এর কারণে খাদ্যশস্যের দাম রাজ্য থেকে রাজ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। অন্নপূর্ণা যোজনা (AY) রেশন কার্ডগুলিও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের অধীনে জারি করা হয়। এই কার্ডটি দরিদ্র এবং ৬৫ বছরের বেশি বয়স্কদের জন্য। কার্ডে প্রতি মাসে ১০ কেজি রেশন পাওয়া যায়।