ডিজিটাল মিডিয়া যে গত কয়েক বছরে বিশ্বকে এতটা প্রভাবিত করেছে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। অনেক প্ল্যাটফর্ম আছে যেখানে জনপ্রিয় ব্যক্তিরা প্রচুর উপার্জন শুরু করেছেন। নিজেদের পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন। ভাল বিষয়টি হল এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে উপার্জনের ক্ষেত্রে কোনও বয়সসীমা নেই। তার সম্প্রতিক উদাহরণ হল, ইউটিউব থেকে ২০২০ সালে সর্বাধিক উপার্জন করেছে ৯ বছরের এক শিশু। (ছবি সৌজন্যে: রায়ান কাজী)
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের ৯ বছরের রায়ান কাজী ইউটিউবে খেলনা এবং গেম আনবক্স করে এবং পর্যালোচনা করে থাকে। ২০২০ সালে এটা করেই কেবল ইউটিউব থেকে ২৯.৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ প্রায় ২২১ কোটি আয় করেছে সে। তাছাড়াও এই শিশুটি বিশ্বে ব্র্যান্ডেড খেলনা এবং পোশাকের মাধ্যমে ২০০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। (ছবি সৌজন্যে: রায়ান কাজী)
রায়ান সম্প্রতি নিকেলোডিওনের সঙ্গে নিজের টিভি সিরিজের চুক্তি করেছেন। কাজীর সর্বাধিক জনপ্রিয় ভিডিও হিউজেস এগ সারপ্রাইজ টয় চ্যালেঞ্জ। যেখানে ২ বিলিয়নেরও বেশি ভিউ রয়েছে। এই ভিডিওটি ইউটিউবের ইতিহাসে সর্বাধিক দেখা ৬০ টি ভিডিওর অন্তর্ভুক্ত। (ছবি সৌজন্যে: রায়ান কাজী)
২০১৫ সালে ভিডিও তৈরি করা শুরু করেছিল রায়ান। খেলনার রিভিউ ভিডিও দেখা শুরু করার সময় সে এই ধারণাটি পায়। পরে লোকেরা রায়ানয়ের ভিডিওয় রিভিউ পদ্ধতিটি পছন্দ করতে শুরু করে এবং তার অনুরাগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রায়ানের জনপ্রিয়তা তিন বছরে শীর্ষে পৌঁছেছিল এবং ২০১৮- ২০১৯ সালে ইউটিউবে সর্বাধিক উপার্জনকারী ইউটিউবার হয় সে। (ছবি সৌজন্যে: রায়ান কাজী)
রায়ানের জনপ্রিয়তা দেখে, অনেক খেলনা সংস্থা তাঁর কাছে আসে এবং তারপর থেকে সে খেলনা আনবক্স করে সেগুলির রিভিউ করে। একই সঙ্গে, কয়েক মিলিয়ন মানুষ ইউটিউবে তার এই ভিডিওগুলি দেখে। রায়ান নিজেকে গত পাঁচ বছরে একটি সফল ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত করেছে। ইউটিউব তারকাদের ২০২০ ফোর্বসের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ২২ বছর বয়সী জিমি ডোনাল্ডসন। যিনি মিস্টার বিস্ট হিসাবে বেশি পরিচিত, তিনি প্রায় ২৪ মিলিয়ন আয় করেছেন এবং প্রথমবারের মতো তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন। (ছবি সৌজন্যে: রায়ান কাজী)