Moon Moving Away From Earth: একটি বিরল-বিচিত্র আবিষ্কারে বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন যে, চাঁদ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘোরা একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ।
আগে ধারণা করা হয়েছিল যে, মহাকর্ষীয় টানের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে স্থির দূরত্বে থাকে। কিন্তু নতুন আবিষ্কার চাঁদ সম্পর্কে বেশ কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
ব্রিটেনের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীদের দাবি, চাঁদ প্রতি বছর পৃথিবীর থেকে ৩.৮ সেন্টিমিটার করে দূরে সরে যাচ্ছে।
এর আগে, যে কোনও মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চাঁদ মহাকাশ বিজ্ঞানীদের কাছে সময় পরিমাপের একটি প্রধান অংশ ছিল। এটি প্রাচীনকাল থেকেই মানব সভ্যতার একটি ক্যালেন্ডার হিসাবে ব্যবহৃত হতো।
সাম্প্রতিক আবিষ্কার অতীতের অনুসন্ধান এবং আবিষ্কার সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। যদি চাঁদ একই হারে পৃথিবী থেকে দূরে সরে যেতে থাকে, তবে সম্ভবত প্রায় ১.৫ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর সঙ্গে চাঁদের সংঘর্ষ হওয়ার কথা, যা অতীতে কখনও ঘটেনি।
বিজ্ঞানীদের অনুমান, চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্বের নতুন আবিষ্কারটি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। কারণ, কেন পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে চাঁদ? চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্ব আরও বাড়লে ভবিষ্যতে কী পরিস্থিতি হতে পারে?
বিজ্ঞানীদের ধারণা, চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে ক্রমশ দূরত্ব বৃদ্ধির নেপথ্য রয়েছে পৃথিবীর মিলানকোভিচ চক্র। পৃথিবীতে আবহাওয়ার অস্বাভাবিক যে কোনও পরিবর্তনের জন্যও এই মিলানকোভিচ চক্রকেই দায়ী করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবীর কক্ষপথ আর অক্ষের মধ্যে মাঝেসাঝে কিছু তারতম্য হয়, যার প্রভাব পৃথিবীতে সূর্যরশ্মির বিকিরণের উপরেও পড়ে।
পৃথিবীর কোন অংশে কতটা সূর্যের আলো পড়ছে, মিলানকোভিচ চক্রের উপরেই নির্ভর করে। এই হিসাবে সামান্য ফারাকও পৃথিবীর আবহাওয়ার বড়সড় পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব আগে আরও কম ছিল। বিজ্ঞানীদের দাবি, ২৪৬ কোটি বছর আগে পৃথিবী আর চাঁদের মধ্যে দূরত্ব ছিল বর্তমান দূরত্বের চেয়ে ৬০,০০০ কিলোমিটার কম। সোজা কথায়, চাঁদ পৃথিবীর আরও ৬০,০০০ কিলোমিটার কাছে ছিল।