Advertisement

বিশ্ব

Supervolcano: ইতালির ঘুম কেড়েছে সুপার ভলক্যানো, টানা ৫০০-রও বেশি ভূমিকম্পে সন্ত্রস্ত মানুষ

Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 15 Nov 2023,
  • Updated 5:36 PM IST
  • 1/8

Italian Supervolcano: সুপার ভলক্যানো! এটি এমন একটি শব্দ যা শুনলেই ভয়ে বুক কেঁপে উঠতে পারে। এমনই একটি সুপার ভলক্যানোকে নিয়ে এখন সারা বিশ্বে প্রবল চর্চা হচ্ছে, যা নিয়ে বিশেষ করে আতঙ্কিত ইতালির মানুষজন! ইতালি ও এর সংলগ্ন ইউরোপের দেশগুলিতে আজকাল সুপার ভলক্যানো শব্দটি শুনে আঁতকে উঠছেন অনেকে। ইতালির সরকার সহ সে দেশের লাখ লাখ মানুষ এটি নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন! কেন এই আতঙ্ক?

  • 2/8

সুপার ভলক্যানো নাম থেকেই স্পষ্ট যে, এটি একটি বড়সড় আগ্নেয়গিরি। ইতালির ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেরি বিশ্বের সবচেয়ে সক্রিয় ২০টি আগ্নেয়গিরির মধ্যে একটি। যদি ২৪০ কিউবিক মাইলেরও বেশি এলাকাজুড়ে কোনও এক জায়গায় অগ্ন্যুৎপাত হয় বা এই বিশাল এলাকাজুড়ে মাটির নীচে ম্যাগমা চাপা থাকে, তবে বিজ্ঞানীরা একে সুপার আগ্নেয়গিরি বলে থাকেন।

  • 3/8

বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা!
ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেরি ১২ থেকে ১৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। ইতালির যে অঞ্চলে এই বিপদ অনুভূত হচ্ছে তার বিস্তৃতি প্রায় ২০০ কিলোমিটার। এর মধ্যে অনেক শহর, গ্রাম, স্কুল, হাসপাতাল সবই ধ্বংস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ এলাকায় ঘন ঘন যে ভাবে ধারাবাহিক ভূমিকম্প হচ্ছে, তাতে ভূ-বিজ্ঞানীদের ধারণা যে কোনও সময় বড়সড় বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত-বিস্ফোরণ ভূমিকম্পের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এখানেও একই ঘটনা ক্রমাগত ঘটছে।
 

  • 4/8

ইতালির চারটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে
ইতালিকে আগ্নেয়গিরির জন্য খুব সক্রিয় দেশ হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এর আগেও এখানে বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটেছে, যা ধ্বংসযজ্ঞ ডেকেছে। গত একশ বছরে এখানে চারটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। এটিতে সিসিলির মাউন্ট এটনাও রয়েছে, যা ইউরোপের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। মাত্র কয়েক মাস আগে এটি ফেটে গিয়েছিল। এটি ক্রমাগত সক্রিয়। স্ট্রোম্বলিও একটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। নেপলসের কাছে মাউন্ট ভিসুভিয়াসে ১৯৪৪ সালে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল। এওলিয়ান দ্বীপপুঞ্জে অবস্থিত ভলক্যানোতে ১৮৮৮-১৮৯০ সালের মধ্যে অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল।
 

  • 5/8

মাউন্ট ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে
এখন এই মাউন্ট ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরি আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েকশ বছর আগে পম্পেই নামের পুরো শহরটি এই আগ্নেয়গিরির প্রভাবে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এখন যে আগ্নেয়গিরিটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাকে বিজ্ঞানীরা ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেরি বলেছেন। যে এলাকায় এটি অবস্থিত সেখানে দুটি দ্বীপ রয়েছে, নেপলস শহর ছাড়াও রয়েছে ছোট ছোট শহর এবং অনেক ছোট ছোট গ্রাম রয়েছে। এটি লক্ষ লক্ষ বছর আগেও সক্রিয় ছিল। কিন্তু আগ্নেয়গিরির আগুন ঠান্ডা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষ আবার এখানে এসে বসতি স্থাপন করে শহর-গ্রাম গড়ে তোলে।
 

  • 6/8

ক্যাম্পি ফ্লেগ্রেরির এলাকায় অনেক আগ্নেয়গিরি আছে কিন্তু বেশিরভাগই জলের নিচে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এগুলি হাজার হাজার বছর ধরেই সক্রিয়। এই অঞ্চলে সবচেয়ে বিপজ্জনক এবং বৃহত্তম বিস্ফোরণটি ১৫৩৮ সালে ঘটেছিল, যার ফলে এই এলাকায় বড় নতুন পাহাড়ের সৃষ্টি হয়েছিল। ইতালির সরকারি সংস্থাগুলি ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে এখানকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। এখানে ক্রমাগত ভূমিকম্প হচ্ছে, যা আসলে আগ্নেয়গিরি থেকে ফের অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার আগাম ইঙ্গিত হতে পারে।

  • 7/8

সাম্প্রতিক ঘটনা যা আতঙ্ক বাড়িয়েছে
গত ২৭ সেপ্টেম্বর পোজুলিতে (নেপলসের বাইরে একটি বন্দর শহরে) ভূমিকম্প হয়েছে (রিখটার স্কেলে ৪.২)। অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি ছোট ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে এই অঞ্চল। বিগত ৪০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে এটাই সবচেয়ে শক্তিশালী ধারাবাহিক ভূমিকম্প বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ১৯৮০ সালের পর এটাই আপাতত সবচেয়ে বড় ধারাবাহিক কম্পন অনুভূত হল এই এলাকায়। বড় ভূমিকম্প, যা কোন গুরুতর কাঠামোগত ক্ষতি করেনি, এবং অক্টোবরে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০০টি ছোট ভূমিকম্প, দুই কিশোরের মা আন্নামারিয়া স্কারডির মতো বাসিন্দাদের উত্তেজনা বোধ করেছে।
 

  • 8/8

এক বছরে ৩৫০০টিরও বেশি ভূমিকম্প
২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ৩৫০০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। শুধু অগাস্ট মাসেই এক হাজারের বেশি ভূমিকম্প হয়েছে এবং অক্টোবর মাসেও এখানে ৫০০টিরও বেশি ভূমিকম্প হয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ইতালির এই অঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতা আর সংখ্যা তত বাড়ছে। এখন এখানে প্রতিদিন ১০-১২টি ভূমিকম্প হচ্ছে। বর্তমানে ইতালির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৫ কোটি ৮৮ লক্ষ। এই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কবলে অন্তত ৪০ লাখ মানুষের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতালির বন্দর শহর পাজুওলিও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
 

Advertisement
Advertisement