Tilapia, Interesting Facts: মৎস্য গবেষকরা বলছেন, আফ্রিকা থেকে ১৯৫০-এর দশকে এ দেশে তেলাপিয়া প্রথম এসেছিল। এটিকে বলা হতো মোজাম্বিক তেলাপিয়া।
তেলাপিয়ার ১০০টিরও বেশি প্রজাতির পাশাপাশি অনেক হাইব্রিড প্রজাতিও রয়েছে। সমস্ত তেলাপিয়ার উৎপত্তি আফ্রিকাতে। যদিও আজ সারা বিশ্বের অংসখ্য খামারে এই মাছের চাষ করা হয়।
১৯৭০-১৯৭৪ সাল নাগাদ থাইল্যান্ড থেকে আসে নাইলোটিকা নামে তেলাপিয়ার অন্য একটি প্রজাতি। এটি মোজাম্বিক তেলাপিয়ার তুলনায় সুস্বাদু এবং এই মাছের বৃদ্ধিও বেশ ভাল।
১৯৯৪ সালে ফিলিপিন থেকে বাংলাদেশে আসে অন্য আরেক প্রজাতির তেলাপিয়া। নাইলোটিকা প্রজাতির তুলনায় এই তেলাপিয়ার বৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। এই তেলাপিয়াই পরে বাংলায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
নয়ের দশক থেকে বাংলাদেশে তেলাপিয়া মাছের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। জলের মান খুব ভাল না হলেও তেলাপিয়া মাছ বাঁচতে পারে। আটের দশকের দিকে তেলাপিয়া চাষের জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে।
এক সময় চিংড়ির চাষ খুব জনপ্রিয় হলেও এর জন্য খুব বেশি যত্নের প্রয়োজন হয়। সে দিক থেকে তেলাপিয়া চাষে খুব বেশি একটা যত্ন নিতে হয় না। খুব সহজে এই মাছের চাষ করা যায় এবং প্রায় সব ধরণের খাবার এই মাছ খায়।
এই সব কারণেই তেলাপিয়া মাছের চাষ দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যেহেতু তেলাপিয়া চাষের খরচ অনেক কম, উৎপাদনশীলতা অনেক বেশি, তাই এটি বাংলায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এছাড়া তেলাপিয়া খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে, খেতেও সুস্বাদু। এই মাছে কাটা প্রায় না থাকার মতোই। এই সব কারণে মানুষের মধ্যে এই মাছের চাহিদাও অনেক বেশি।