বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সবসময় বিতর্কিত। তবে একটি ডেটিং ওয়েবসাইট এটি ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে সফল করেছে। আমেরিকার ডেটিং প্ল্যাটফর্ম অ্যাশলে ম্যাডিসন বিবাহিত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি, যেখানে তাদের জন্য সম্পর্কের বাইরে শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়।
বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক: উদ্দেশ্য ও কারণ
অ্যাশলে ম্যাডিসনের মুখপাত্র ইসাবেলা মাইজ সম্প্রতি এই বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “পরকীয়া সম্পর্ক সবসময় সম্পর্কের শেষ বোঝায় না। অনেক সময় এটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখারও চেষ্টা হতে পারে।”
ইসাবেলার মতে, নারী ও পুরুষের সম্পর্ক থাকার কারণগুলো ভিন্ন:
পুরুষরা মূলত শারীরিক চাহিদা পূরণের জন্য এই ধরনের সম্পর্কের দিকে ঝোঁকেন।
নারীরা, অন্যদিকে, মানসিক সমর্থন বা ভালোবাসার অভাব পূরণের চেষ্টা করেন।
ইসাবেলা আরও উল্লেখ করেন যে, কোভিড-১৯ মহামারীর সময় যখন দম্পতিরা একসঙ্গে বেশি সময় কাটাতে বাধ্য হন, তখন সম্পর্কের মানসিক চাপ বেড়েছিল। এতে অনেকেই নতুন ভাবে জীবনে ভারসাম্য আনার চেষ্টা করেন।
গবেষণা কী বলছে?
ইউনিভার্সিটি অব মিসৌরির ডক্টর অ্যালিসিয়া ওয়াকারের গবেষণা অনুযায়ী, নারীদের সম্পর্কের কারণ পুরুষদের থেকে অনেকটাই ভিন্ন।
আমেরিকার একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ১৬% মানুষ তাদের সঙ্গীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে মনে করেন।
তবে ৪৭% আমেরিকান বিশ্বাস করেন, প্রতারণা সত্ত্বেও সঙ্গীকে ক্ষমা করা উচিত।
প্রধান কারণ: অ্যাশলে ম্যাডিসনের তথ্য অনুযায়ী, ৬৭% ব্যবহারকারী শারীরিক অসন্তোষকে পরকীয়ার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে, ভালোবাসার অভাব সবচেয়ে কম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি ও ভবিষ্যৎ
ইসাবেলার মতে, আমেরিকার সামাজিক মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে এখন সম্পর্কের শেষ হিসেবে দেখা হয় না। বরং এটি অনেকের কাছে দাম্পত্য জীবনের অপূর্ণ চাহিদা পূরণের মাধ্যম।