এক মহিলা টিকটকার জানিয়েছেন যে তিনি কীভাবে শুধুমাত্র এসএমএস করে প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকা করে কামিয়েছেন। তিন বছর পর্যন্ত তিনি ওই পয়সা কামিয়ে ফেলেছেন। তার বদলে মহিলা শুধুমাত্র টেক্সট মেসেজে মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের কথা বলতেন। ব্যাস, এটুকুই তাতেই করে নোট ঢুকে গিয়েছে তার ওয়ালেটে।
ওই ব্যক্তি কেন এ রকম টাকা দিয়েছেন তা অবশ্য খোলসা করেছেন, মহিলাই একটা ভিডিও তৈরি করে নেটে ছেড়েছেন। ওই ভিডিও ৭.৭ মিলিয়ন অর্থাৎ প্রায় ৭৭ লক্ষের বেশি বার ভিডিওটি দেখা হয়েছে।
মিরর ইউকের খবর অনুযায়ী মহিলার নাম বেইলি হান্টার। তিনি আমেরিকার বাসিন্দা। বেলি নিজের টিকটক অ্যাকাউন্ট @xbaileyhunter এক্স ভিডিও শেয়ার করে এক ব্যক্তির দ্বারা করা সমস্ত লেনদেনের খোলসা করেছেন। ভিডিওতে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তখন দেখা করেন যখন তিনি একটি রেস্তারাঁয় ওয়েট্রেসের কাজ করতেন। ওই ব্যক্তি ওই সময়ে কম বয়সী মহিলার সঙ্গে ডিনার করতে এসেছিলেন তাকে সুগার ড্যাডি বানান।
ওই ব্যক্তিকে এবং তার পার্টনারকে খাবার সার্ব করেন বেইলি। বিল হয় ২ হাজার ৯০০ টাকা। বদলে ওই ব্যক্তি তাঁকে ১৭ হাজার ৪০০ টাকা টিপস দেন। সঙ্গে নিজের ভিজিটিং কার্ড দেন, যখন কার্ডে লেখা নম্বরে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য ওই ব্যক্তিকে ম্যাসেজ করেন। তখন ওই ব্যক্তি বলেন, তুমি অদ্ভুত। তুমি টিপের যোগ্য। তুমি কবে আমাকে ডিনার সার্ভ করবে, আমি তখন আসবো।
মেসেজেস এর মাধ্যমে সম্পর্ক বানিয়ে কিছু আরও পয়সা কামানোর সম্ভাবনা থেকে উৎসাহিত হয়ে গিয়ে বেলি ওই ব্যক্তিকে জানান যে এর পরে তিনি যখন আসবেন তখন তিনি থাকবেন।এই ভাবেই তার সঙ্গে এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়াতে থাকেন তিনি।
বিদেশ থেকে জানিয়েছেন যখনই তিনি ওই ব্যক্তিকে টেক্সট করবেন, বন্ধুর মতো করবেন। অর্থাৎ মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের কথা দুজনের মধ্যে মেসেজ এ কথা চালাচালি হতে থাকে। বেরির বক্তব্য অনুযায়ী, ওই ব্যক্তির ক্যাজুয়ালি এবং সাধারণ ভাবেই মিষ্টি কথাবার্তা বলতেন। তিনি শুধু মেসেজ করতে এবং কথা বলতে শুরু করেন এবং তার বদলে পয়সা দিতে শুরু করেন।
ওই ব্যক্তির সাহায্যের কথা জানান বেলি, যখন তাকে আপনি নিজের আর্থিক বিষয়টি জানান। তখন ঐ ব্যক্তি তাঁকে সাহায্য করার জন্য নিজেই উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। এটা শুনে বিশ্বাস করেনন বেইলি হান্ট জানান যে ওই ব্যক্তি আমাকে না জিজ্ঞাসা করে টাকা পাঠিয়ে দিতেন। তিন বছর পর্যন্ত পরম্পরা চলতে থাকে। ওই সমস্ত পয়সায় তিনি দামী দামী জিনিস কেনেন, খুব শপিং করেন। এই পরম্পরা ইন্ডিয়ান ছাড়ার আগে তিন বছর পর্যন্ত চলতে থাকে। তারপর প্রত্যেক মাসে তাঁকে ভালো টাকা ঐ ব্যক্তি দিতেন। তাও শুধুমাত্র মেসেজের মাধ্যমে। তারপর ওই ব্যক্তির পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দিলে বেলি এখন নতুন ব্যক্তি খুঁজে বেড়াচ্ছেন যদি এখনও পাননি।