
চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলে 15 তম সিজনে শুরুটা খুব খারাপভাবে করেছে। তিন ম্যাচে তারা তিনটি হেরে এবারের আইপিএল শুরু করেছে। যা চেন্নাইয়ের আইপিএল ইতিহাসে কখনও ঘটেনি। এখনও পর্যন্ত চেন্নাই কলকাতা নাইট রাইডার্স, লখনউ সুপার জায়েন্টস ও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে তাদের প্রথম তিনটি ম্যাচ হেরে গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় চেন্নাই পাঞ্জাবের কাছে ৫৪ রানে হেরে যায়। মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাটিং নিয়ে প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার ধোনির ধীর ব্যাটিংকে চেন্নাই এর অন্যতম কারণ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁকে সমর্থন করেছেন চেন্নাই প্রাক্তনী ম্যাথু হেডেনও।
গতি মন্থরতায় ভুগেছে ধোনির ব্যাট
চেন্নাইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে ২৮ বলে ২৩ রান তৈরি করতে পারেন। তিনি শিবম দুবের সঙ্গে মিলে একটা লম্বা পার্টনারশিপ করলেও, নিজের ব্যাটিংয়ে তিনি তেমন কিছু করে উঠতে পারেননি। অতীতে যেমন দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনের সময় তাঁর ব্যাট জ্বলে উঠেছিল, তেমনটাও দেখা যায়নি। এবং তার মধ্যে চেষ্টাটুকুও দেখা যায়নি বলে মনে করছেন অনেকে। ধোনির ব্যাটিং নিয়ে প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার জানিয়েছেন যে, পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ধোনি নিজের ইনিংসের সময়ে মন্থরতায় ফেঁসে গিয়েছেন বলে মনে হয়েছে।
কী বলছেন গাভাস্কার?
তিনি জানান যে, আপনি দেখেছেন, ধোনি যদিও বর্ণনা করেন তাহলে তিনি সিঙ্গলস এবং ডাবলস নিয়ে ইনিংস সচল রাখেন। কিন্তু যা পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে তার দেখা যায়নি। তিনি একাধিক ডট বল অ্যালাউ করেছেন, যা এ ধরনের হাই স্কোরিং ম্যাচে এবং যেখানে চেন্নাই দ্রুত পাঁচটি উইকেট হারায় তারপর কখনওই ধোনিসুলভ এবং জয়ের জন্য সমীচীন ছিল না। একদিকে শিবম দুবে চেষ্টা চালালেও অপর দিক থেকে ধোনির সহায়তা না মেলায় শিবম দুবেকে অতি আক্রমণাত্মক হতে গিয়ে আউট হয়ে যেতে হয়।
বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে একই ঘটনা ঘটে
যেমনটা হয়েছিল বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সেমিফাইনালে। ধোনি নিষ্ক্রিয় থাকায় রবীন্দ্র জাদেজাকে অতি সক্রিয় হতে হয়েছিল। যার খেসারত দিতে হয় উইকেট হারিয়ে। অন্যদিকে শেষমেষ ধোনি রান আউট হয়ে যান। ফলে ভারতের জয়ের আশা নির্মূল হয়ে যায়। অথচ যতক্ষণ রবীন্দ্র জাদেজা ছিল, ভারত ম্যাচে ছিলই প্রবলভাবেই।
ধোনির স্ট্র্য়াটেজি বুমেরাং হয়ে যায়
চেন্নাইয়ের প্রাক্তন ওপেনার ম্যাথু হেডেন ও সুনীল গাভাস্কারের মতকে সমর্থন করেছেন। চেন্নাইয়ের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মহেন্দ্র সিং ধোনি দলকে চাপের মুখে টেনে তোলেন। কিন্তু তিনি প্রথমে মন্থর শুরু করলেও পরের দিকে হাত খুলে মারা শুরু করেন। যদিও তার বহু ম্যাচে তার এই রণকৌশল বুমেরাং হয়ে যায় ।প্রথম দিকে ধীরে খেলার পর তিনি আউট হয়ে যান। পরে দেখে আর রান করার সুযোগ থাকে না। চেন্নাই এখনও এই সিজনে নিজেদের তিন ম্যাচ হেরে গিয়েছে। এখান থেকে চেন্নাইকে নিয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হলে লাগাতার জয়ে ফিরতে হবে।