Advertisement

গুগল হ্যাক করে সাড়ে ৩ কোটির চাকরি বিহারের ছেলের! ভাইরাল খবর সত্যি?

গুগলের ভুল ধরে কোটি টাকার চাকরি পেয়েছেন'বিহারের ছেলে'র! ভাইরাল খবরের সত্যি জানতে ঋতুরাজের সঙ্গে কথা বলল আজতকের সহযোগী লল্লনটপ। কী জানালেন বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা?

নেট মাধ্যমে ভাইরাল বিহারের ঋতুরাজ- নিজস্ব ছবি। নেট মাধ্যমে ভাইরাল বিহারের ঋতুরাজ- নিজস্ব ছবি।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 05 Feb 2022,
  • अपडेटेड 4:08 PM IST
  • নেটমাধ্যমে চাউর হয়ে গিয়েছে ঋতুরাজের খবর।
  • গুগল হ্যাক করে সাড়ে ৩ কোটির চাকরি পেয়েছেন!
  • কতখানি সত্যি খবর?

গুগলের ত্রুটি খুঁজে নেটমাধ্যমে ভাইরাল বিহারের যুবক ঋতুরাজ চৌধুরী। তিনি নাকি কোটি টাকার চাকরি পেয়েছেন! এমন খবর তোলপাড় ফেলেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আচ্ছা, কতটা সত্যি এই খবর? 
   
ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে উপচে পড়ছে একটি বার্তা। তাতে যা দাবি করা হয়েছে, তা চমকে দেওয়ার মতো। ওই বার্তায় বলা হয়েছে, গুগলের সাইট হ্যাক করেছেন বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা ঋতুরাজ। তাঁর এই 'কৃতিত্বে' বিস্মিত সংস্থা। পুরস্কার হিসেবে বার্ষিক ৩.৬৬ কোটি টাকার চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট না থাকায় সমস্যায় পড়েছিলেন ঋতুরাজ। ভারত সরকারের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাসপোর্ট পেয়ে গিয়েছেন। 

নেট মাধ্যমের বার্তার কতখানি দুধ আর কতখানি জল, তা জানতে ঋতুরাজের সঙ্গে কথা বলেছে আজতকের সহযোগী সংস্থা লল্লনটপ। ঋতুরাজ জানিয়েছেন, প্রয়োরিটি ২ বাগ বা সুরক্ষায় ফাঁক খুঁজে পেয়েছেন। এজন্য গুগলের কাছ থেকে ৩.৬৬ কোটির চাকরি পাননি।        

ঋতুরাজ জানিয়ে দেন, সুরক্ষার গলদ খোঁজা ও হ্যাকের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। তিনি শুধু বাগ খুঁজে বের করেছেন। এখনও তাঁর পাসপোর্ট তৈরি হয়নি। আপাতত তাঁর নাম উল্লেখ করেছে গুগল। কোনও চাকরি পাননি ঋতুরাজ। 

আরও পড়ুন

ভাইরাল বার্তায় দাবি করা হয়েছিল, আইআইটি মণিপুরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ঋতুরাজ। কিন্তু মণিপুরে কোনও আইআইটি-ই নেই। তিনি মণিপুরে ট্রিপল আইটি থেকে বিটেক পড়ছেন। জার্মানি বা ইজরায়েলে গিয়ে ভবিষ্যতে পড়াশুনোর ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।            

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিহারের সাধারণ ঘরের ছেলে কোটি টাকার চাকরি পেয়েছেন। তাও আবার মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলে। সে কারণে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আর তাই খবরের সত্যতা যাচাই না করেই সোশ্যালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। ভাগ করে নিচ্ছেন বন্ধুদের সঙ্গে।            

Read more!
Advertisement
Advertisement