পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়ার দাবিতে এবার জেলার প্রশাসনিক ভবন ডুয়ার্সকন্যার সামনে পেটে গামছা বেঁধে বিক্ষোভ দেখালো জেলার পর্যটনকারবারি মহল। বৃহস্পতিবার দুপুর একটা নাগাদ আলিপুরদুয়ার জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রের থেকে হোটেল, লজ,রিসর্ট মালিকরা সহ ট্যুরিস্ট গাইড, সাফারি চালক, হোমস্টের মালিকরা ডুয়ার্স কন্যার সামনে এসে জমায়েত হয়ে পেটে গামছা বেঁধে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন।
এদিন জলদাপাড়া, চিলাপাতা, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়া,থেকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। করোনা সংক্রমণের জেরে গত প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ পর্যটন শিল্প। মাঝে সংক্রমণের রেশ কিছুটা কম হতেই পর্যটকদের জন্য ডুয়ার্সের পর্যটন কেন্দ্র গুলো খুলে দেওয়া হয়। ফলে খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটন শিল্প ফের কিছুটা ঘুরে দাড়াতে শুরু করে।
কিন্তু করোনার তৃতীয় ঢেউ এবং সাথে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আচমকাই ফের বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন শিল্প। এর জেরে আরেকবার আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়ে সমস্ত ট্যুর অপারেটর, হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে,জিপসির মালিক সহ ট্যুর গাইডরা।
বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সময় ডুয়ার্স কন্যার সামনে জেলার পর্যটন কারবারিরা বিক্ষোভ শেষে দুপুর আড়াইটা নাগাদ পর্যটন কেন্দ্র খোলার দাবি জানিয়ে সকলে মিলে আলিপুরদুয়ার জেলা শাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্রের জিপসির মালিক প্রসেনজিৎ দাস বলেন সমস্ত কিছুই ৫০ শতাংশ মানুষ নিয়ে চলছে। শুধু পর্যটনের ক্ষেত্রেই যত বাধা।এভাবে কোনও নোটিশ না দিয়েই পপর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়াতে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। তাই আজ আমরা এই ডুয়ার্স কন্যায় পেটে গামছা বেঁধে এসেছি। আমরা কী খাবো? কী ভাবে আদের পরিবার নিয়ে জীবন চলবে তাই ভেবে উঠতে পারছি না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন তিনি আমাদের বিষয়টি দেখুন।নইলে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের পর্যটন কেন্দ্রের সম্পাদক গোপাল সন্ন্যাসী বলেন, গাইডরা না খেয়ে রয়েছে। আমরা সাফারি গাড়ির কিস্তি পরিশোধ করতে পারছি না। লজ মালিকদের ঋন শোধ করতে পারছি না। তাই আজ বাধ্য হয়েই পেটে গামছা বেঁধে এই আন্দোলন শুরু করেছি।
আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা জানিয়েছেন ওঁদের দাবি আমি নবান্নে পাঠিয়ে দেব। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেখান থেকেই নেওয়া হবে।