Advertisement

Padmashree Dhaniram Toto And Mangalakanta Roy: কবিতা-লোকসঙ্গীতে অবদান, পদ্মশ্রী পেলেন উত্তরবঙ্গের ধনীরাম-মঙ্গলাকান্ত

Padmashree Dhaniram Toto And Mangalakanta Roy: ধনীরাম টোটো এবং মঙ্গলাকান্ত রায়। দু'জনই উত্তরবঙ্গের সংষ্কৃতিজগতের দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ধনীরাম একাধারে কবি, লিপিকার এবং টোটো ভাষা সংষ্কৃতি চর্চায় অগ্রণী মুখ। অন্যদিকে মঙ্গলাকান্ত সারিঞ্জা শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গায়ক। দুজনেই বহির্জগতের কাছে তেমন পরিচিত না হলেও উত্তরবঙ্গের মানুষ তাঁদের চেনেন। এবার তাঁরা পেলেন জাতীয় সম্মান পদ্মশ্রী।

মঙ্গলাকান্ত রায় ও ধনীরাম টোটো
Aajtak Bangla
  • আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি,
  • 26 Jan 2023,
  • अपडेटेड 11:08 AM IST
  • কবিতা-লোকসঙ্গীতে অবদান
  • পদ্মশ্রী পেলেন উত্তরবঙ্গের দুই রত্ন
  • ধনীরাম টোটো-মঙ্গলাকান্ত রায়

Padmashree Dhaniram Toto And Mangalakanta Roy: উত্তরবঙ্গের জোড়া পদ্মশ্রী লাভ। ফলে খুশির হাওয়া উত্তরবঙ্গের সাংষ্কৃতিক মহলে। একবারে দুজন পদ্মশ্রী পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত সব মহলই। প্রথমজন ধনীরাম টোটো। দ্বিতীয়জনের নাম মঙ্গলাকান্ত রায়। দুজনই উত্তরবঙ্গের সংষ্কৃতিজগতের দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ। ধনীরাম একাধারে কবি, লিপিকার এবং টোটো ভাষা সংষ্কৃতি চর্চায় অগ্রণী মুখ। অন্যদিকে মঙ্গলাকান্ত সারিঞ্জা শিল্পী ও লোকসঙ্গীত গায়ক। দুজনেই বহির্জগতের কাছে তেমন পরিচিত না হলেও উত্তরবঙ্গের মানুষ তাঁদের চেনেন।

ধনীরামের প্রতিভা বহুমুখী। নগর সভ্যতা থেকে অনেক দূরে হাউড়ি নদীর পাড়ে তাদিং পাহাড়ের কোলে টোটো জনগোষ্ঠীর বাস। আলিপুরদুয়ার জেলায় মাদারিহাট থেকে ২৮ কিমি দূরে এমন পাহাড়ি জনপদে থেকে ধনীরাম কবিতা লিখেছেন, প্রবন্ধ রচনা করেছেন। টোটো সংস্কৃতি রক্ষায় আজীবন নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তার চেয়ে বড় কথা, টোটো ভাষা রক্ষায় বর্ণমালা তৈরি করেছেন। পদ্মশ্রী যে তাঁর যোগ্য সম্মান। ধনীরামবাবু টোটোদের শিক্ষা-সংস্কৃতির জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন। একটার পর একটা উপন্যাস, কবিতা, গল্পের পাশাপাশি তিনি সৃষ্টি করেছেন টোটো বর্ণমালা। তাঁর উপন্যাস ধানুয়া নদীর তীরে ও উত্তাল তোর্ষা। লিখেছেন টোটো জনজাতির কথা নিযে লোকাসুর। ৪০টির বেশি কবিতা লিখেছেন।

মঙ্গলাকান্তের জীবন লোকসঙ্গীত চর্চাতেই কেটে গিয়েছে । মাত্র পনেরো-ষোলো বছর বয়স থেকেই লোকসঙ্গীতে তালিম নেন। লুপ্তপ্রায় সারিঞ্জা বাজানোতে তাঁর বিশেষ মুন্সিয়ানা রয়েছে। রাজবংশী সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে এই বাদ্যযন্ত্রটি এখন তেমন আর কেউ বাজান না বলেই চলে। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ির কাছে ধওলাগুড়ি গ্রামে বাড়ি। স্থানীয়রা তাঁকে ডাকেন মংলা গোঁসাই বলে। বয়স একশো পেরিয়েছে বলে শোনা যায়। সেই কিশোরবেলা থেকেই সারিঞ্জা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে আসছেন মংলা গোঁসাই। প্রায় পাঁচশো বছরের বেশি পুরনো এই ধরনের বাদ্যযন্ত্র এখন আর খুব বেশি শোনা যায় না। ২০১৭ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পুরস্কার বঙ্গরত্ন পান। তবে তাঁর কোনও কাজ নেই। মাঝে সাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার ডাক আসলে ১ হাজার টাকা করে রোজগার হয় বলে তিনিই বিভিন্ন সময়ে জানিয়েছেন। লকডাউনের পর তাও কমে এসেছে। সংসার চালানোই দায়। এবার পদ্মশ্রী লাভের পর যদি স্বচ্ছলতা ফেরে, সেই আসাতেই রয়েছেন শিল্পী।

Advertisement

উত্তরবঙ্গের এই দু'জনের পাশাপাশি আরও তিন বাঙালি এবার পদ্ম সম্মান পেয়েছেন। সব মিলিয়ে খুশির হাওয়া বাংলাজুড়ে।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement