Advertisement

Demand Of Cancellation Of GTA Agreement: GTA চুক্তি বাতিল করে ফের পৃথক রাজ্যের দাবি, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গুরুংদের

Demand Of Cancellation Of GTA Agreement: জিটিএ চুক্তি থেকে নিজেদের সই প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি মোর্চার। এবার জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ।শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফ থেকে।

GTA চুক্তি বাতিলের দাবি, রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি গুরুংদের
Aajtak Bangla
  • শিলিগুড়ি,
  • 27 Jan 2023,
  • अपडेटेड 6:05 PM IST
  • জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার মোর্চার
  • চিঠি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীকে
  • জিটিএ চাইছেন না তাঁরা

Demand Of Cancellation Of GTA Agreement:আবারও নতুন করে পাহাড়ে অশান্তির আঁচ। এবার জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ।শুক্রবার সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে দলের তরফ থেকে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রাজ্যের প্রধানমন্ত্রীকে সই প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও তাদের এই সই প্রত্যাহারের কোনও গুরুত্ব নেই বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। অনিত থাপা থেকে গৌতম দেব, অশোক ভট্টাচার্যরা মনে করেন নির্বাচনের আগে এসব করে কোনও লাভ হবে না।

সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষোভ রোশন গিরির

শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে সই প্রত্যাহারের কথা জানান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। তাঁর দাবি, জিটিএ, গোর্খাদের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এত বছরেও তা কোনওভাবেই গোর্খাদের উন্নয়নের পক্ষে কোনও কাজ করেনি। সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ BGPM-এর হাতে দার্জিলিং পুরসভা, দীপেনকে চেয়ারম্যান ঘোষণা অনিতের

কী বলছে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি?

সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে পালটা মোর্চাকেই একহাত নিয়েছেন জিটিএ'র বর্তমান কার্যনির্বাহী আধিকারিক অনিত থাপা। তিনি বলেন, "মোর্চার নেতারা আইন, চুক্তি সম্পর্কেই ঠিকমতো জানে না। এরা আবার পাহাড়ের নেতা হয়েছেন। সবই হেরো নেতা। নির্বাচনে জিততে পারেনি। জিটিএ নির্বাচন হয়ে গিয়েছে, আর আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছি। আমরা নির্বাচিত হয়েছি। ফলে তাদের কথার আর কোন গুরুত্ব নেই।" ওই বিষয়ে তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, "শূন্যর সঙ্গে শূন্য যুক্ত হলে ফলাফল শূন্যই হয়। ফলে গুরুত্বহীন নেতার গুরুত্বহীন কথার কোনও মানে হয় না। এখন পাহাড় শান্ত রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের নেতৃত্বে পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে। বিজেপি সত্যিই কিছু করেনি। প্রতিবার বিধানসভা অথবা লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ধরনের নানা জিগির তোলা হয়।"  সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য মনে করেন, "এসব নিয়ে যা বলার মুখ্যমন্ত্রীকেই বলা উচিত। তবে এসব প্রসঙ্গ প্রত্যেক নির্বাচনের আগেই ওঠে।" তবে জিটিএ চুক্তি থেকে সই প্রত্যাহার করলে কোনও লাভ হবে না বলে তিনি মনে করছেন।

Advertisement

আরও পড়ুনঃ সেই প্রিজন সেল-মিনার-সেনা ব্যারাক, ১০০ বছরের আগের চেহারায় ফিরছে বক্সা ফোর্ট

সই প্রত্য়াহারের কথা বলে চাপে রাখার চেষ্টা

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১৮ জুলাই শিলিগুড়ির পিন্টেল ভিলেজে কেন্দ্র, রাজ্য ও পাহাড়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে এই চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল। পরবর্তীতে এই জিটিএ চুক্তি আইনে পরিবর্তিত হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে এই সই প্রত্যাহার কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও রোশন বলেন, "আমরা আমাদের সই প্রত্যাহারের মাধ্যমে সমর্থন উঠিয়ে নিলাম। এরপরে আগামীতে এই জিটিএ-এর ভাগ্য সম্পূর্নভাবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে"। 

পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনের রূপরেখা মোর্চার

অন্যদিকে পৃথক রাজ্যের দাবি নিয়ে ফের আন্দোলনে নামতে চলেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা । জানা গিয়েছে পাহাড়ের মোর্চা সহযোগী বেশ কয়েকটি দলকে নিয়ে ইতিমধ্যে একটি কমিটি ও তৈরি করা হয়েছে। আগামী ৫ই ফেব্রুয়ারি এই কমিটির একটি বৈঠক রয়েছে সেখান থেকেই আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করবে মোর্চা সভাপতি।

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement