বিরোধীদের জিটিএ নির্বাচন নিয়ে একমত করে ফেললেন মমতা। পৃথক রাজ্যের দাবিতে সুর আগেই স্তিমিত হয়েছিল। তবে একেবারে আওয়াজ না তুললে পাছে লোকনিন্দা হয়, তাই জিটিএ-নির্বাচনে সায় দিয়েও নিজেদের একটা দাবি তুলে রেখে পুরনো দাবিকে খাতায়-কলমে প্রাসঙ্গিক রাখলেন একদা দোর্দন্ডপ্রতাপ পাহাড়ের একচ্ছত্র তথাকথিত সেকেন্ড ম্যান গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি। এ ছাড়া এদিনের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে চমক কিছু ছিল না।
এদিন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার দুপুর তিনটেয় এই বৈঠক শুরু হয়। জিটিএ নির্বাচন নিয়েই মূল আলোচনা হয়। জিটিএ নিয়ে একমাত্র গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা নেতা রোশন গিরিরা জিটএ নির্বাচনের আগে পাহাড় সমস্য়ার স্থায়ী সমাধানের দাবি জানান। বাকি সমস্ত দলের তরফে উন্নয়নের স্বার্থে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে কোনও আপত্তি জানানো হয়নি। এ ছাড়া পাহাড়ের কালিম্পংয়ের প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান করা হয় জাপ সভাপতি হরকা বাহাদুর ছেত্রীকে।
এ ছাড়া অনিত থাপার দলের তরফে জিটিএ থেকে কালিম্পং জেলাকে পৃথক করে জেলা পরিষদ গঠন করার পরামর্শ দেন। তা নিয়ে এদিন বেশি আলোচনা হয়নি। পরে তা নিয়ে আলোচনার আশ্বাস নিয়েছে বলে সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হতে পারে। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা, সহ সভাপতি তথা কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা, অমর লামা,শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান অমর সিং রাই। পাশাপাশি হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। রিচমন্ড হিলে এই বৈঠক হয়েছে।
পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রুদেন লেপচার বক্তব্য, “যখন কালিম্পং আলাদা জেলা হয়ে গিয়েছে তা হলে বাকি জেলাগুলির মতই সুবিধা পাওয়া উচিৎ। তাই জেলা পরিষদও গঠিত হোক। জিটিএ কেন?” বিধায়ক রুদেন লেপচার দাবিকে কালিম্পংয়ের মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন বলেই রুদেন-অনুগামীদের দাবি।
চারদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে রবিবারই শিলিগুড়িতে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার দিনের সফরের তিনদিন থাকবেন পাহাড়ে। আগেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, জিটিএ ভোট নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি চাই জিটিএ ভোটটাও মে জুন মাসের মধ্যে হয়ে যাক। পাহাড়ে ইতিমধ্যেই শান্তিপূর্ণভাবে পুরভোট হয়েছে। জিটিএ ভোটটা হোক চাই।”
অন্যদিকে দার্জিলিংয়ে শান্তিপূর্ণ থাকায়, ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি পর্যটকপূর্ণ পাহাড় দেখে নিজের সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। হোমস্টে-হোটেলগুলি ভাল ব্যবসা করছে বলে জানান।