Tea Garden Hopping With Low Cost: সামান্য খরচে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য চা বাগানের দুয়ার খুলে যাচ্ছে। সৌজন্যে জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন। চা বাগানের কারখানা ও বাংলো পরিদর্শন, কাঁচা পাতা তোলার দৃশ্য দেখানো হবে সামনে দাঁড়িয়ে। এরপর টি কিয়স্কে চা প্যাকেজিং ও বিপণনের খুঁটিনাটিও ঘুরিয়ে দেখানো হবে। সঙ্গে বাড়তি পাওনা ডুয়ার্সের অপরিসীম সৌন্দর্য, গজলডোবা ভোরের আলোতে বিকেলের খাবারের সঙ্গে সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান। খরচ নামমাত্র। এবার শীতে এমন সুযোগ হাতছাড়া করবেন কেন? আপাতত সপ্তাহে একদিন করে এই সুযোগ মিলবে।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিঙে পাহাড়ের কোল বেয়ে এবার রাতেও চলবে টয়ট্রেন, কবে থেকে নয়া সার্ভিস?
কখন কোথা থেকে ছাড়বে বাস?
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ির বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি পার্কের সামনে থেকে প্রতি শনিবার সকাল ৮টায় বাস ছাড়বে। প্রাতঃরাশ গাড়িতেই দেওয়া হবে। সারাদিন ঘুরিয়ে বাস ফিরে আসবে ফের বিকেল ৫ টায়, ওই জায়গাতেই।
কোথায় বুকিং?
পর্যটকরা উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার (NBSTC) ওয়েবসাইট কিংবা তাঁদের অফিস থেকে বুকিং করতে পারবেন। এছাড়া ডিপোগুলি থেকেও বুকিংয়ের সুবিধা মিলবে। কলকাতার এনবিএসটিসি কাউন্টার থেকেও বুকিং করা যাবে। ইচ্ছুক পর্যটকরা নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বরে ফোন করে আসন সংরক্ষণ করতে পারবেন। জন প্রতি খরচ ১৫০০ টাকা।
কোথায় কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে/
বাস ছেড়ে প্রথমেই নিয়ে যাওয়া হবে লাটাগুড়ি হয়ে গরুমারা জাতীয় উদ্যান, তিলোত্তমা টুরিস্ট রিসর্ট ও এক্সপেরিয়েন্স বেঙ্গলের মিউজিয়াম। এরপর মাল মহকুমার বড়দিঘি চা বাগানের কারখানা ও বাংলো পরিদর্শন, কাঁচা পাতা তোলার দৃশ্য দেখানো হবে সামনে দাঁড়িয়ে। এরপর বাতাবাড়ি টি কিয়স্কে চা প্যাকেজিং ও বিপণনের খুঁটিনাটিও ঘুরিয়ে দেখানো হবে।
বাড়তি ঘোরানো হবে এখানে
মালবাজার উদ্যান, ডামডিম চা বাগানে চায়ের চারা রোপণের ধারণা অর্জন ও প্রকৃতির অপূর্ব ল্যান্ডস্কেপে সেলফি তোলার সুযোগ পাবেন। শেষে গজলডোবার ভোরের আলোতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে লোকশিল্পীদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারবেন। ভোরের আলোর যুব আবাসে সন্ধ্যার খাবার দেওয়া হবে। এরপর বৈকুন্ঠপুর জঙ্গলের রাস্তা দিয়ে জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোতে এসে ভ্রমণ শেষ হবে
আরও পড়ুনঃ ধূমপান ছাড়া থাকতে পারেন না? দার্জিলিঙে গেলে কিন্তু বিপদে পড়বেন
কী বলছে জেলা প্রশাসন?
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন আপাতত নতুন বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত চা ভ্রমণ চলবে।এই সময় চা পাতা তোলা বন্ধ থাকে। ফলে ঘুরিয়ে দেখালে কাজের সমস্যা হবে না। তবে উৎসাহ ও প্রকল্পের সাফল্য দেখে পরবর্তীতে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নতুন ধরণের ভ্রমণের আনন্দের পাশাপাশি পর্যটনের সঙ্গে জড়িতদের রোজগারের ব্যবস্থাও এর মাধ্যমে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এতে শামিল করা হচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত টুরিস্ট গাইডদেরও। এতে তাঁদেরও আয়ের পথ প্রশস্ত হবে।