উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য চেয়ে বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন তিনি। আবার উত্তরবঙ্গে ভাল রেজাল্টও করেছে বিজেপি। মোটের উপর উত্তরবঙ্গে লোকসভার সাফল্য বিধানসভায় মোটের উপর ধরে রেখেছে গেরুয়া শিবির। এহেন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ থেকেই দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বেছে নিল মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হচ্ছেন আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ও কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এছাড়াও মন্ত্রী হচ্ছেন সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুর। সুভাষ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও শান্তনু ঠাকুর বনগাঁর সাংসদ।
আরও পড়ুন: মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পাচ্ছেন জন, সুভাষ, নিশীথ ও শান্তনু
পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি করেন জন বার্লা
বিধানসভা ভোটের পরেই উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্যের দাবিতে সরব হন জন বার্লা। উত্তরবঙ্গে বিজেপি-র আদিবাসী ভোটের অন্যতম মুখ বার্লা। বস্তুত, উত্তরবঙ্গে, বিশেষ করে ডুয়ার্সে বিজেপি-র আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই জন বার্লার জনপ্রিয়তায় অটুট রয়েছে। এহেন জন বার্লাকে কেন্দ্রে মন্ত্রী করে উত্তরবঙ্গকে মোদী সরকার তাত্পর্যপূর্ণ বার্তা দিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিছু দিন আগেই রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জন বার্লার সঙ্গে দেখা করেন। তার আগে কোচবিহারের একটি হোটেলে দলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে বিজেপি সাংসদ জন বার্লা বলেছিলেন, 'উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দেখতে চাই। এই প্রসঙ্গে দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন জানাব। সাধারণ মানুষ শান্তি চায়। কিন্তু প্রত্যেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। কোথায় যাবেন তাঁরা। সাংসদ তহবিলের কাজের জন্য দরজায় দরজায় আমাদের ঘুরতে হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ পরিষেবা পাচ্ছেন না। উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য হিসেবে দেখতে চান সাধারণ মানুষ। তিনি তাঁদের কথাই বলছেন।'
বাংলা থেকে মন্ত্রী আরও ৩
জন বার্লা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে মন্ত্রী করা হচ্ছে শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক ও সুভাষ সরকার। মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতা শান্তনু ঠাকুর বনগাঁ কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। মূলত, শান্তনুর হাত ধরেই ২০১৯ সালে মতুয়া ভোট অনেকটাই আদায় করেছিল বিজেপি। একই সঙ্গে মতুয়াদের দীর্ঘদিনের দাবি সিএএ। লোকসভা ভোটের আগে মতুয়া সম্প্রদায়কে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সিএএ লাগু হবে শীঘ্রই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ-র বিরুদ্ধে। ফলে মতুয়া ভোট চলে যায় বিজেপির দিকেই। বিধানসভা ভোটেও সেই ব্যাঙ্ক অটুট ছিল। অন্যদিকে সুভাষ সরকার বাঁকুড়া থেকে বিজেপি সাংসদ। বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে সফল না হলেও পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপি-র সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী, তার প্রমাণ মিলেছে লোকসভা ভোটে৷ জঙ্গলমহলের কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে৷